শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ফরিদপুরে বিএনপির ২৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা , রাজবাড়ীর ১৩ নেতা গ্রেপ্তার

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২৩, ২:৩৪ পিএম

ফরিদপুরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। রাজবাড়ী জেলা বিএনপির ১৩জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করাসহ অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০জনকে আসামী করা হয়েছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার এসআই রায়হান কবির নাঈম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের ২ নং জুরান মোল্যার পাড়ার মোজাহার আলীর ছেলে গোয়ালন্দ পৌর যুব দলের সদস্য সচিব মোঃ কামরুজ্জামান (৪০), চর বালিয়াকান্দি গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে ও গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হাই মন্ডল (৫৫), রাজবাড়ী সদর উপজেলার গাবলা গ্রামের মোঃ খালেক মন্ডলের ছেলে মোঃ মিলন ম-ল (৩০), বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ইলিশকোল গ্রামের মোঃ আবুল হাসেমের ছেলে মোঃ জাহিদুল ভূঁইয়া (৪৫), রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধুনচী পূর্ব পাড়ার মৃত আঃ সাত্তার শেখের ছেলে মোঃ মোমিন শেখ (৪৫), গোয়ালন্দ বালিয়াঙ্গা পৌরসভার মাল ফকিরের ছেলে মোঃ সাজাহান (৩৮), পাংশার কুলটিয়া গ্রামের আঃ কাদের মোলার ছেলে মোঃ শিপন ইসলাম (২০), গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত কাদের মোল্যার ছেলে মোঃ গনি মোল্যা (৪৬), নুরপুর গ্রামের মৃত হাবীবুর রহমান চৌধুরীর ছেলে রাজবাড়ী পৌর বিএনপির আহবায়ক মাহাবুব চৌধুরী দুলাল (৬৭), গোপালপুর গ্রামের আঃ ওহাব মোল্যার ছেলে ও জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ শাহিনুর রহমান (৩৪), চর খানখানাপুর গ্রামের মোঃ সাজাহান শেখের ছেলে মোঃ সৌরভ শেখ (১৮), রামকান্তপুর গ্রামের আঃ খালেক মন্ডলের ছেলে মোঃ আজাহার আলী (৩৫), ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার চারভাগদিয়া গ্রামের মোতালেব শেখের ছেলে মোঃ মাহবুব শেখ (২৩)।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো, গোয়ালচামট মিয়াপাড়া সড়কের বাসিন্ধা ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এফ এম কাইয়ুম জলি (৬০), পূর্ব খাবাসপুর লঞ্চ ঘাট এলাকার মালেক মিয়ার ছেলে ফরিদপুর জাতীয়বাদী দল বিএনপির সদস্য সচীব একে কিবরিয়া স্বপন (৫০), আলীপুর আলাউদ্দিন খান সড়কের ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্ববায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েল (৫৫), গোয়ালচামট রথখোলা এলাকার আমিনুদ্দিন ওরফে ইমানউদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন(৫৫), পশ্চিম খাবাসপুর গ্রামের আঃ রাজ্জাকের ছেলে মিজানুর রহমান মিনান (৪৮), সিএন্ডবি ঘাট এলাকার ফেলা মাতবরের ছেলে আলম (৪৫), হাবেলী গোপালপুর গ্রামের নিশাতের ছেলে শাহরিয়ার হোসেন শিথিল (৩৫), পূর্ব খাবাসপুর গ্রামের হাসেম খানের ছেলে জিতু খান (২৮), পরমানন্দপুর গ্রামের ইনতাজ আলীর ছেলে ইব্রাহিম আলী (৩২), কমলাপুর গ্রামের মহিউদ্দিন মিলারের ছেলে নাছির উদ্দিন মিলার (৪৮), আলীপুর খন্দকার লজের বাদশা মিয়ার ছেলে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েস (৩২) সহ অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বুধবার (১১ জানুয়ারী) ফরিদপুর কোতয়ালী থানার সাধারণ ডায়েরী নম্বর ৭০০ মূলে এসআই শামীম হাসান, এএসআই আনোয়ার হোসেন, কং রমেশ চন্দ্র, কং ১৪৫০ ইমরুল হোসেন, কং ৯৯৪ আবুল হোসেন, কং ১৭১ জুবায়ের হোসেন, কং ৩২১ তরিকুল ইসলাম, কং ৮৫০ নয়ন কুমার মজুমদার, কং ৯২৬ ফাহাদ হোসেন, কং ৪৮৭ অম্বু ম-ল ও ডিবি অফিসার ফোর্স সহ অম্বিকা ময়দানের সামনে আইন শৃংখলা রক্ষা ডিউটি করাকালীন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচী চলাকালে সকাল সাড়ে ১১ টা সময় ফরিদপুর জেলা ও ফরিদপুর মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ফরিদপুর শহরস্থ ঝিলটুলী অম্বিকা ময়দানে অবস্থান কর্মসূচী শুরু হয়। ওই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কমিটি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. আহমদ আযম খান সহ স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলা হতে আগত বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়। দুপুর পৌনে ১টার সময় অম্বিকা ময়দানের সামনে দিয়ে ফরিদপুর জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে যাওয়া কালীন বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। উভয় পক্ষ একে অপরের প্রতি ইট-পাটকেল, ককটেল নিক্ষেপ করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এবং জনসাধারণ ও রাস্তায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। বিষয়টি বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সার্বিক বিষয় অবহিত করে জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা যাহাতে ব্যাহত না হয় এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পক্ষদ্বয়ের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ নিয়ন্ত্রন ও প্রতিবন্ধকতা দূর করার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়। বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানালে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত অফিসার ফোর্স প্রেরণ করেন। হামলাকারীদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করলে অর্তকিত ভাবে পুলিশের উপর আক্রমন করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ নিজেদের জানমাল, সরকারী সম্পদ রক্ষাসহ আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শর্টগানের ১৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশিদ হারুন বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালায়। উল্টো আমাদের রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার নেতাকর্মীদের আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। এ মিথ্যার নিন্দা জানাই।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. লিয়াকত আলী বাবু বলেন, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী সহ ২৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি এ্যাড. আসলাম মিয়া বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে প্রবেশের সময়ই আমাদেরকে বাঁধা প্রদান করা হয়। আমাদের উপর হামলা করে। তারপর উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়ের করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন