লু নামে সর্বাধিক পরিচিত। পুরো নাম ডোনাল্ড লু। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেট সেক্রেটারি। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোর পর বলেছিলেন, তার ক্ষমতা হারানোর নেপথ্যের মাস্টার মাইন্ড ছিলেন ডোনাল্ড লু। ১৪ জানুয়ারি সেই ডোনাল্ড লু ঢাকা আসছেন। তার এ ঢাকা সফর নিয়ে কূটনীতিকপাড়া, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজসহ সর্বোত্তই আলোচনা তিনি কি জাদু-মন্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে আসছেন? তিনি কি রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ খুঁজে দেবেন; নাকি সরকারকে আরো কঠিন বার্তা দেবেন? তিনি কি চীনকে নিয়ন্ত্রণ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আকসার (অ্যাকুজিশান অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট) ও জিসোমিয়া (জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট) চুক্তিতে সরকারকে রাজি করিয়ে ওয়াশিংটন ফিরে যাবেন; নাকি গণতন্ত্র তথা জনগণের ভোটের অধিকার (অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন), মানবাধিকার ইত্যাদির ইস্যুতে কঠোর বার্তা দেবেন? তিনি কি কমনওয়েলথের স্যার স্টিফেন নিনিয়ান ও জাতিসংঘের অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর মতো ব্যর্থ হয়ে ঘরে ফিরবেন? এ নিয়ে সর্বোত্রই আলোচনা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর রাজনীতির গতি প্রকৃতি বদলে দিতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ দেখতে চায় তার নতুন পথ খুলে যাবে। তার সফর দেশের রাজনীতির জন্য হবে টার্নিং পয়েন্ট। যদিও বিজ্ঞজনরা বলে থাকেন ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যার বন্ধু তার শত্রুর প্রয়োজন নেই’।
ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরের আগে দিল্লি সফর করেন। তিনি ঢাকায় আলোচনায় কোন কোন বিষয়কে গুরুত্ব দেবেন? ১২ জানুয়ারি ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, লু বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন, মানবাধিকার, জ্বালানি, আইনের শাসন, বাণিজ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শ্রম আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রী, বিভিন্ন ব্যাক্তি, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন। সবার কাছ থেকে বাংলাদেশের সার্বিক ধারণা নেবেন। যারা যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল ও পররাষ্ট্রনীতির খোঁজখবর রাখেন দেশের সেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্র নিজের স্বার্থের বাইরে কিছুই করেন না। তবে বিশ্বায়নের যুগে দেশটির ভূমিকা খুবই তৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র খুবই প্রাসঙ্গিক। কারণ বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশে বিদেশি মোট বিনিয়োগের প্রায় ১৭ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সিঙ্গাপুর মোট বিনিয়োগের ১৬ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগ ৮ শতাংশ। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, চীন, মিশর, যুক্তরাজ্য, হংকং এবং অন্যান্য দেশের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময় দেশটি বাংলাদেশকে ১০ কোটি করোনাভাইরাসের টিকা বিনামূল্যে দিয়েছে। জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের নিয়ন্ত্রণ কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের ইশারায় পরিচালিত হয়। ফলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা বাংলাদেশের পক্ষে অসম্ভব।
বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্যই গত বছর ওয়াশিংটনে ‘গণতন্ত্র সম্মেলন’নে বাংলাদেশ অংশ নিতে পারেনি। জো বাইডেন প্রশাসনের রাজনৈতিক এজেন্ডা হলো বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, মানবাধিকার রক্ষা, আইনের শাসন কার্যকর, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা ইত্যাদি ইত্যাদি। যদিও দেশটি বিশ্বের একেক দেশের ক্ষেত্রে একেক কৌশল গ্রহণ করেন নিজেদের স্বার্থে। কিন্তু বাংলাদেশকে বাইডেন প্রশাসন ‘গণতান্ত্রিক দেশ’ দেখতে চায়। ফলে বাংলাদের মানবাধিকার, আইনের শাসন, জনগণের ভোটের অধিকার ইত্যাদির ব্যাপারে সোচ্চার। মানবাধিকার লংঘনের দায়ে অভিযুক্ত করে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে র্যাবের ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অথচ এই র্যাবের ট্রেনিং এবং নানামুখী সহায়তা করেছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র ‘সর্প হয়ে দংশন করে ওঁঝা হয়ে ঝাড়ে’ প্রবাদের মতোই কর্মকৌশলে অভ্যস্ত। যুক্তরাষ্ট্রের কারণেই চিলির পিনোশেট বা আর্জেন্টিনার সামরিক শাসক হোর্হে ভিদালকে মানবাধিকার লংঘনের দায়ে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। অথচ পিনোশেট ও ভিদালকে উসকানি এবং তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রই। আবার বিচারের ব্যবস্থাও তারাই করেছিল। ইরাকের সাদ্দাম হোসেন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র; কিন্তু ইরাক আক্রমণ করে তারাই সাদ্দাম হোসেনের বিচারের নামে হত্যা করেছে। বাংলাদেশের র্যাবকে যুক্তরাষ্ট্রই প্রশিক্ষণ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে; তারাই আবার নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে।
জানতে চাইলে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশের দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা কূটনীতিক সাকিব আলী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন পররাষ্ট্রনীতির কৌশল গ্রহণ করে। বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের অগ্রাধিকার কৌশল হলো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মানবধিকার রক্ষা ইত্যাদি ইত্যাদি। আগে দিল্লির চোখে ঢাকাকে দেখলেও এখন ওয়াশিংটন নিজের চোখেই দেখছে। ফলে ভারত এখন আওয়ামী লীগের কোনো কাজে আসছে না। বাংলাদেশ নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আসার আশঙ্কা রয়ে গেছে। চীনকে ঠেকাতে বাংলাদেশকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আকসা ও জিসোমিয়া চুক্তি সই করাতে রাজি করিয়ে বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নিরপেক্ষ নির্বাচনের অঙ্গীকার থেকে সরে যাবে এমন ভাবনার কারণ নেই। বাংলাদেশ যদি ওই দুটি সামরিক চুক্তিতে সই করে তারপরও সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতেই হবে। বাংলাদেশে আরেকটা পাতানো নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই চাইতে পারে না। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আন্তর্জাতিক সমাজ তথা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীরবতা ছিল তাদের নিজস্ব স্বার্থে। তখনো গুমের ঘটনা ঘটলেও যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা শক্তি গুমের বিষয়ে প্রশ্ন তোলেনি। এখন তারা নিজেদের স্বার্থেই প্রশ্ন তুলছে। উন্নয়ন সহযোগিতার নামে বাংলাদেশে ক্রমাগত চীনের উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও আধিপত্য নিয়ে উদ্বিগ্ন করে তুলছে।
গত কয়েক মাসের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ নীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রনীতির প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ক্রমাগত বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। ধারাবাহিকভাবে বাইডেন প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ঢাকা সফর করছেন। ডোনাল্ড লু’র সফরের আগে ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এইলিন লুবাখার ঢাকা সফর করেন। গত বছরের নভেম্বর মাসে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী সেক্রেটারি আফরিন আখতার ঢাকা এসেছিলেন। ওই বছরের অক্টোবরে ঢাকা ঘুরে গেছেন আরেক সহকারী সেক্রেটারি অরুণ ভেংকটারামান। এছাড়াও মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড ঢাকা সফর করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ঢাকা সফরে এসে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, স্বচ্ছ নির্বাচন, আকসা ও জিসোমিয়া চুক্তি সই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। এর আগে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে গত বছরের এপ্রিল মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে ড. মোমেনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। সেখানে গণতন্ত্র, নিরপেক্ষ নির্বাচন, মানবাধিকার, সামরিক চুক্তি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার অনুরোধ করলেও সেটা স্বল্প সময়ে সম্ভব নয় জানানো হয়। এ সময় ড. মোমেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য ব্লিঙ্কেনকে উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র যেন বদ্ধপরিকর। নির্বাচন ইস্যুতে ঢাকায় কর্মরত পিটার হাসের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। পিটার হাস একা নন, তাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানির রাষ্ট্রদূতরাও তৎপর। জাপানের রাষ্ট্রদূত রীতিমতো বোমা ফাটানো মন্তব্য করেছেন ২০১৮ সালের রাতের নির্বাচন নিয়ে। ডোনাল্ড লু যখন ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন হঠাৎ করে ৯ জানুয়ারি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন গ্যাং ঢাকায় এক ঘণ্টার ঝটিকা সফর করেন। ছিন গ্যাংয়ের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেনের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছিন গ্যাং এর ঢাকা সফর ছিল কার্যত বাংলাদেশকে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দেয়া। বাংলাদেশ যাতে ইন্দো-প্যাসিফিক জোটে যোগ না দেয় সে বিষয়ে চাপ দেয়া হয়েছে। পরে চীন সরকারের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দলসহ কয়েকটি দলের নেতার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সব কিছুই ডোনাল্ড লু’র সফরকে কেন্দ্র করে।
গতকাল এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরে গণতন্ত্র-মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হবে কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায় বিচার আমাদের মজ্জাগত। গণতন্ত্র, জাস্টিসের জন্য কারও সুপারিশ করার দরকার নেই। যদি কেউ কোনো সুপারিশ করে আমরা সেটা শুনবো। পরীক্ষা করে সেটা যদি আমাদের দেশের জন্য মঙ্গল হয় তাহলে সেটা গ্রহণ করব। ইন্দো-প্যাসিফিক জোটে বাংলাদেশের যোগ দেয়া নিয়ে তিনি বলেন, এ জোটে যোগ দিতে বাংলাদেশের খুব আপত্তি নেই। আমরা এটা নিয়ে স্টাডি করছি। ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফোরামে যোগদান করলে করলে আমাদের লাভ হলে আমরা করব।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, গত এক বছরের মার্কিন রাষ্ট্রদূতের তৎপরতা ও জো বাইডেন প্রশাসনের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে তারা বাংলাদেশ গণতন্ত্র, আইনের শাসন দেখতে চায়। দেশটি ইতোমধ্যেই ‘মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদ’ থিউরিতে পরিবর্তন এনেছে। ২০০৮, ২০১৪,২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার নেপথ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্র-ভারত-যুক্তরাজ্যসহ প্রভাবশালী দেশগুলো। আওয়ামী লীগ ‘মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ’ বটিকা ব্যবহার করে পশ্চিমাদের সমর্থন নিয়েছে। এখন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র চায়। নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজনে বাধ্য করাতে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের তৎপরতা ও বক্তব্যে বোঝা যায় জো বাইডেন প্রশাসন সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চায়। সে জন্য ডোনাল্ড লু’র সফরের আগে ২০১৮ সালে মার্শা বার্নিকাটের গাড়ি বহরে হামলার নতুন তদন্ত করতে হচ্ছে। পিটার হাসকে বিএনপির গুম হওয়া সাজেদুল ইসলাম সাওনের বাসায় যাওয়ায় ঘেড়াও করা নিয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছে। চীনকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আকসা ও জিসোমিয়া চুক্তি সই করতে চায় ঠিকই; কিন্তু সেই সঙ্গে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণ যোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। তবে ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর যে বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য টার্নিং পয়েন্ট হবে তা বোঝা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন