পটুয়াখালী-ঢাকা নৌ-রটে চলাচলকারী এম.ভি. সুন্দরবন-১৪ লঞ্চের কেরানী মশিউরের আঘাতে সুপারভাইজার মোঃ রাজ্জাক (৬০)নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মশিউর ও লঞ্চের অপর সুপারভাইজার মোঃ ইউনুসকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পটুয়াখালী টার্মিনালে নোঙ্গর করা সুন্দরবন-১৪ লঞ্চের ভেতরে অভ্যন্তরীন দ্বন্দের কারনে মশিউর ও রাজ্জাকের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে মশিউর ক্ষিপ্ত হয়ে রাজ্জাকের উপরে চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি কিল ঘুসি মারলে তিনি লঞ্চের ডেকে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় মশিউর কিল ঘুসি মারলে রাজ্জাকের নাক মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।পরবর্তীতে মশিউর লোহালিয়া খেয়াঘাট দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা মশিউরকে ধরে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, সুন্দরবন-১৪ লঞ্চের ষ্টাফদের অভ্যন্তরীন দ্বন্দে বাক- বিতন্ডার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে রাজ্জাক নামের একজন সুপারভাইজার অসুস্থ্য হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মশিউর এবং ইউনুস নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে। এটি অসুস্থ্যতা জানিত মৃত্যু নাকি হত্যাকান্ড তা তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে।
উল্লেখ্য সুন্দরবন-১৪ লঞ্চের সুপারভাইজার আ: রাজ্জাক ,৪০ বছর অধিককাল ধরে পটুয়াখালী-ঢাকা রুটে লঞ্চে চাকুরীর সুবাদে পটুয়াখালীর জনসাধারনের কাছে অতি পরিচিত উপকারী মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এ দিকে পটুয়াখালী হাসপাতাল থেকে সন্ধ্যার পরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বস্তরের জনগনের উপস্থিতীতে তাৎক্ষনিক একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়ে হাসপাতালের মেইনগেটে এক পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়। পথসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান,জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাফরউল্লাহ,জেলা অওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক খায়রুল আহসান খায়ের ,জেলা যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম সোয়েব প্রমুখ। বক্তরা আ: রাজ্জাক হত্যকান্ডের সুষ্টু বিচার দাবী করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন