শেরপুর সদরে উদ্বোধন করা হলো মডেল মসজিদের। আজ ১৬ জানুয়ারী সকালে গণভবন
থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মসজিদটি উদ্বোধন
করেন।
এর আগে, উদ্বোধনকে ঘিরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষ রজীনগন্ধায় জড়ো হোন
জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা।
আর উদ্বোধনের পরে দুপুর ১ টায় সদরের চাপাতলি মডেল মসজিদে এক দোয়া ও মিলাদ
মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার,
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বক্কর সিদ্দিক, গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী
জিল্লুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোক্তাদিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা
চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস,
সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, শেরপুর প্রেসক্লাবের
সভাপতি শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সাবেক সভাপতি এডভোকেট
রফিকুল ইসলাম আধারসসহ আরো অনেকেই।
গণপূর্ত বিভাগের তথ্য মতে, ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা
ব্যয়ে মসজিদটির নির্মাণ শুরু হলে শেষ হয় প্রায় তিন বছরে। আধুনিক সব ধরণের
সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এই মসজিদে। এরমধ্যে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা নামায
আদায়, হজ্ব যাত্রীদের প্রশিক্ষণ, গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরি,
অটিজম কর্নার, দাফনের আগে আনুষ্ঠানিকতা, হেফজখানাসহ ১৪ধরণের সুবিধা
রয়েছে।
শেরপুর জেলা সদরের চাপাতলীতে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক
সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রায় সাড়ে তের
কোটি টাকা ব্যয়ে এ মসজিদ নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়।
ধর্মমন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে গণপূর্ত প্রকৌশল বিভাগ এ মসজিদের নির্মাণ কাজ
বাস্তবায়ন করে।
জানাগেছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন জেলা
ও উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ তৈরি করছে সরকার। এর মধ্যে ৫০টি মডেল মসজিদ
উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। মডেল মসজিদে পুরুষ ও মহিলার পৃথক নামাজ পড়ার
ব্যবস্থা ছাড়াও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
তিনতলা এ মসজিদের আদি গঠন তিনটি গম্বুজ ও একটি বিশাল মিনার স্থাপিত
হয়েছে। এর মধ্যে নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক অজুর স্থান, লাইব্রেরি ও
গবেষণা কেন্দ্র, শিশু শিক্ষা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, অতিথিশালা, হজ
যাত্রীদের নিবন্ধন কেন্দ্র ও ইমামদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
এমন মসজিদ পেয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আনন্দিত। পাশাপাশি নারীদের ধর্মীয়
শিক্ষার প্রসার ঘটবে বলেও মনে করছেন মুসুল্লীসহ স্থানীয়রা।
মসজিদটির উদ্বোধনের পরই মুসুল্লিসহ অনেকেই দেখতে আসেন মসজিদটি। এসময়
মুসুল্লি রফিকুল ইসলাম বলেন, সত্যিই মসজিদটি দেখতে খুব সুন্দর।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা জানান, আমরা তো এতোদিন কোন
মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারিনাই। এখন মসজিদে জামাতের সহিত নামাজ আদায়
করতে পারবো।
জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার বলেন, সরকার ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষায় নানা
ধরনের উন্নয়মূলক কাজ করে যাচ্ছে। এতো সুন্দর মসজিদ নির্মান করা হয়েছে,
যেখানে পুরুষ মহিলাদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থাসহ ইসলামী সংস্কৃিত চর্চার
বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এজন জনগেনর উচিৎ সরকারকে ধন্যবাদ দেয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন