বিদ্যুতের দাম বাড়লে সকল নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে, মূল্যস্ফীতি বেড়ে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। নির্বাচনের বছরের শুরুতেই বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সরকার প্রমাণ করেছে জনগণের কাছে তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। রাতের ভোটের সরকার নির্বাচন ছাড়াই পুনরায় ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেছেন, কোন চক্রান্ত ষড়যন্ত্রে কাজ হবেনা। অচিরেই জনবিচ্ছিন্ন সরকার বিদায় নেবে, আগামী নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি এবং বিদ্যুতের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে খুলনা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে মহানগরীর সকল থানা ও ওয়ার্ড থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের খন্ড খন্ড মিছিল ডিসি অফিস সংলগ্ন কেসিসি মার্কেট এলাকায় সমবেত হয়। এখান থেকে এক বিশাল মিছিল সরকার বিরোধী নানা শ্লোগান দিতে দিতে কে ডি ঘোষ রোড দলীয় কার্যালয় চত্বরে আসে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ তারিকুল ইসলাম জহির, যুগ্ম আহবায়ক স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ঈসা, শের আলম সান্টু, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী প্রমুখ।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি নবনির্মিত রেল স্টেশন এলাকা থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে অবস্থান নিয়ে এক প্রকার অবরুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করে। পুলিশ মোতায়েন ছিল ফেরীঘাট মোড়েও। বিএনপি অফিস সংলগ্ন থানার মোড় ছিল কাঁটাতারের ব্যারিকেডে অবরুদ্ধ। সেখানেও ছিল বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন। পরে কেসিসি মার্কেট এলাকায় জমায়েত ও মিছিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হলে নেতাকর্মীরা সেখানে সমবেত হয়। মহানগরী এলাকার কয়েক সহস্রাধিক নেতাকর্মী কর্মসূচিতে অংশ নেন। শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সমাবেশ স্থান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন