উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের পূর্ব লাকুরতলা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্রী ও একই এলাকার ফারুক খানের মেজো মেয়ে। সোমবার বেলা বারোটার দিকে স্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, স্কুল মাঠের এক কোনায় ময়লা আবর্জনায় পোড়ানোর জন্য সকালে আগুন দেয়া হয়। অসাবধানতাবশত ঐ শিক্ষার্থী আগুনের কাছে গেলে তার শীতের পোশাকে আগুন ধরে যায়। পরে বিষয়টি স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য কর্মী ফয়সাল দেখে সেখান থেকে উদ্ধার করে পুকুর লাফ দেয়।
স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা সালমা আক্তার জানান, দ্বিতীয় শ্রেণী ছুটি হয়েছে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে। তবে ওই ফারজানা বাড়িতে না গিয়ে স্কুল মাঠে খেলা করে। দ্বিতীয় সিফট বারোটায় শুরু হলে আমরা ক্লাসে ডুকে যাই। কিছুক্ষন পর ডাক চিৎকার শুনে সকল শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা নিচে নেমে ফারজানায় গায়ে আগুন জ্বলতে দেখি। তাৎক্ষণিক ভাবে কমিনিউটি ক্লিনিকের ফয়সাল ফারজানাকে নিয়ে পুকুরে ঝাপ দেয়। পরবর্তীতে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে রওয়ানা হয়েছি।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃপঃ কর্মকর্তা মো. সাইফুল হাসান জানান, ফারজানার শরীরের শরীরের ৭২ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন