পশ্চিমা দেশগুলোর তেল কেনার নিষেধাজ্ঞার জবাবে রাশিয়া পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সেসব দেশে তেল সরবরাহ বন্ধ করেছে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউরোপে রাশিয়ার ডিজেল সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ কারণে ইউরোপের গাড়ি, জাহাজ, যন্ত্রপাতি নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে প্রভাব পড়বে। এতে ইউরোপের অর্থনৈতিক সমস্যা আরো কঠিন ঝুঁকিতে পড়েছে।
বর্তমানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সমস্যা সমাধানের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে দৃষ্টি দিয়েছে। পাশাপাশি, তেল পণ্যের দীর্ঘমেয়াদী সরবরাহকারী হিসেবে গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে তেল পণ্য সরবরাহের পরিমাণ বাড়িয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, চলতি বছর মার্কিন ডিজেলের উৎপাদন ক্ষমতা নতুন রেকর্ড করবে। পাশাপাশি, ইউরোপে রপ্তানি করে লাভবান হবে।
বিশ্লেষকের মতে, রাশিয়ার তেল পণ্যের যথেষ্ঠ বাজার না থাকলে, দেশটি তেল শোধনাগারে উৎপাদন কমাতে পারে। ফলে বিশ্বে জ্বালানি সরবরাহ কমবে এবং জ্বালানি তেলের দাম বাড়াবে, আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেল বাজার অস্থিতিশীল হবে। যা ইউরোপের অর্থনীতিতে আরো প্রভাব ফেলবে।
এদিকে, ইউরোপ সময় সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশন ঘোষণা করেছে যে, চলতি বছরের বসন্তকালে প্রাকৃতিক গ্যাস কেনার মোট পরিমাণ ঘোষণা করা হবে। গত বছরের অক্টোবর মাসে ইইউ’র বিভিন্ন সদস্যদেশের মধ্যে যৌথভাবে প্রাকৃতিক গ্যাস ক্রয়ের চুক্তি হয়েছিল। সূত্র: এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন