শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নাঙ্গলকোটে সড়ক ভেঙে গেলো খালের পেটে

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ৩:০৫ পিএম

নাঙ্গলকোট দাউদপুর-ধাতীশ্বর-পাটোয়ার গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের পাটোয়ার মাদ্রাসা অংশে গাগৈর খালের পানির স্রোতে ভেঙে বিলীন সড়ক।


কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে দাউদপুর-ধাতীশ্বর-পাটোয়ার গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের একটি অংশ পাটোয়ার গাগৈর খালের পানির স্রোতে ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

খালের ভাঙনের ফলে সড়কের যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে নাঙ্গলকোট পৌর সদর, হেসাখাল ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম ও পাটোয়ার ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সহ হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সম্প্রতি দাউদপুর-ধাতীশ্বর-পাটোয়ার গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটারের সড়কটি পাঁকাকরণের কাজ করা হয়। পাশাপাশি পাটোয়ার গাগৈর খালটিরও খননের কাজে শেষ হয় মাত্র। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে খালের পাড়ে পাটোয়ার ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা অংশে প্রায় ৫০ মিটার সড়ক ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। এতে পৌর সদরের দাউদপুর, ধাতীশ্বর, হেসাখাল ইউপির পাটোয়ার, ওমরগঞ্জ, শকুনতলা ও হিয়াজোড়া গ্রাম সহ নাঙ্গলকোট উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ চলাচলের এ সড়কটিতে যানবাহন যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।
এ বিষয় পাটোয়ার ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা শিক্ষক এয়াকুব জানান, এটি পাটোয়ার মাদ্রাসা সড়ক নামে পরিচিত। দীর্ঘদিন অবহেলিত রাস্তাটি পাঁকা করাই আমাদরে দাবি ছিলো। অল্প কয়েক মাস হয় এটি পাঁকা করা হয়। পাশাপাশি গাগৈর খালটিও খনন করা হয়। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মাদ্রাসা অংশে সড়কের প্রায় ৫০ মিটার ভেঙে বিলীন হয়েছে খালে। এখন যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ছাত্র ছাত্রী সহ এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষের
দুর্ভোগ চরমে।
অটোরিকশা চালক শাহজালাল বলেন, আগে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতেন। সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এখন প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। এতে সময় অনেক ভাড়ছে, কষ্ট হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রুবেল বলেন, সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এখান দিয়ে এখন মাদ্রাসা আসিনা। এটি দেখতে অনেক ভয় লাগে। তবে কখন যানি আবার মাদ্রাসা ভেঙে বিলীন হয় খালে।
নাঙ্গলকোট এ আর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর আরেক শিক্ষার্থী রিজুয়ান বলেন, তিনি এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাইসাইকেল যোগে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করি। এখন সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় ভয় করে। কখন যেন খালে পড়ে যাই। তাই এ সড়ক দিয়ে এখন আর যাতায়েত করি না।
উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সড়কটিতে লোক পাঠিয়ে পরিমাপ করে দ্রুত সংস্কারের কাজ করা হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন