যশোরের বিভিন্ন দোকানে সয়াবিনের আড়ালে পাম অয়েল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মোড়কের আড়ালে মোস্তফা গ্রুপের ‘মোস্তফা সয়াবিন তেল’ পুরোটাই ভেজালে ভরা। ইনটেক তেল বোতলেই শীতে ঠান্ডায় জমাট বেঁধে যাচ্ছে। যা নিম্নমানের ভোজ্য তেলেরই প্রমান। ভোক্তভোগীদের অভিযোগ, গরমের সময় নিম্নমানের ভোজ্য তেলের ভেজাল ধরা পড়েনি। তেলের সঠিক মান শীত আসায় উন্মোচিত হয়েছে। সয়াবিনের দামে দেয়া হচ্ছে পাম অয়েল। এ ধরনের প্রতারণার সাধারণ ক্রেতারা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন।
যশোরের বিভিন্ন বাজারে মোস্তফা গ্রুপের ‘মোস্তফা সয়াবিন তেল’ সরবাহর করছে বড় বাজারের রহিম ট্রেডার্স, যশোর শহরের খালদার রোড আলিয়া মাদ্রাসা এলাকার এস আর ট্রেডার্স নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে যশোরসহ সারাদেশে সয়াবিন তেল সরবাহর করছে কোম্পানিটি। যার প্রস্তুতকারক এম এম ভেজিটেবল অয়েল প্রোডাক্টস লিমিটেড। দীর্ঘদিন ধরে এই তেল নিয়ে কোন অভিযোগ না পেলেও শীতকাল আসায় তেলের সঠিক মান উন্মোচিত হয়েছে। তেলের এমন ভেজালের খবর শুনে ভোক্তরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে যশোর শহরের খালদার রোড আলিয়া মাদ্রাসা এলাকায় দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মোস্তফা গ্রুপের ‘মোস্তফা সয়াবিন তেল’ এখন আর দোকানদাররা বিক্রয় করছেন না। দোকানে থাকা ইনটেক জমাট বাঁধা তেল বোতলগুলো আলাদা করে রেখেছেন দোকানীরা। অনেক দোকানদার আবার ডিলার বা কোম্পানি প্রতিনিধিদের কাছে ফেরতও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
খালদার রোড এলাকার শিশির স্টোরের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মজিদ জানান, অনেক দিন ধরেই এই তেল বিক্রি করছি। জুন মাসের দিকে এক কাটুন (৩০ পিচ) নিয়েছিলাম স্থানীয় ডিলারের কাছ থেকে। প্রথমে সয়াবিন তেলের মতো পরিস্কার থাকলেও শীত আসায় পুরো বোতলই জমাট বেঁধে রয়েছে। অনেক ক্রেতা ফেরত দিয়ে গেছে। আমরা কোম্পানি ও স্থানীয় ডিলারদের জানিয়েছি। তারা এসব তেল ফেরত নিবে বলে জানিয়েছে। তবে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সয়াবিত তেলের আড়ালে মোস্তফা কোম্পানি পাম ওয়েল বিক্রি করছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের বাজার মনিটারিং ও এই তেল কারসাজিদের আইননের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। এই বিষয়ে যশোর যশোরে মোস্তফা সয়াবিন তেলের ডিলার এস আর ট্রেডার্স স্বত্বাধিকারী রাকিব হাসান সাগর বলেন, ৫-৬ মাস আগেও এই তেল নিয়ে কোন অভিযোগ ছিলো না। এই তেল দোকানে সরবাহর করার পরে গেল দুই মাস ধরে অভিযোগ আসছে। সয়াবিত তেল জমাট বাধা বোতল দেখেও আমি বিস্মিত হয়েছি। কোম্পানির ডিলারের সঙ্গে কথা বলে যে দোকানদারগুলোর তেল জমাট বেধেছে সেই তেলগুলো বাজার থেকে তুলে নিয়েছি। তিনি ছাড়াও যশোরে আরো দুই থেকে তিনটি প্রতিষ্ঠান এই মোস্তফা সয়াবিন তেলে বাজারে সরবাহর করেন বলে জানান তিনি। এই বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শাহীন নাম্বারের কয়েক দফা ফোন দিলেও তিনি রিসিভি করেননি। আর ভোক্তা অধিকার দপ্তরের বর্তমান কর্মকর্তা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন