রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মৃত্যর সাথে যুদ্ধ করে ৮ দিন পর মারা গেলেন সাহেদ আলম দুই অবুঝ শিশু কন্যা জানেনা তাদের বাবা আর নেই!!

রাউজান(চট্টগ্রাম)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:৪০ পিএম

সকালে ঘর থেকে বের হয়ে মোটর বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন কর্মস্থলের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।পথিমধ্য বাঁধে বিপত্তি।কুয়াশাচ্ছন্ন চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনীয়া বুড়ির দোকান এলাকায় অজ্ঞাত গাড়ি ধাক্কা দিলে মোটর বাইক সহ সাহেদ ছিটকে পড়ে সড়ক পেরিয়ে পাশের জমিনে।গাড়ির ধাক্কায় তার মাথার হেলমেট ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়।স্থানিয়রা এগিয়ে এসে সাহেদকে অজ্ঞান অবস্থায় সেখান থেকে উদ্বার করেন।পরিচয় পত্র সূত্রে খবর দেওয়া হয় তার কর্মস্থলের লোকজনকে।তারা সহ মিলে তাকে দ্রুত আন্দরকিল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।চিকিৎসকদের প্রানপণ চেষ্টার পরও এক সেকেন্ডের জন্য তার জ্ঞান ফিরছিলনা।ডাক্তারের ভাসায় তার মাথা পাটেনি,রক্ত করণও হয়নি তবে হেলমেটের চাপে তার ব্রেইন ৯৯ভাগ ডেট হয়ে গিয়েছিল।যার কারনে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।তার অবুঝ দুই শিশু কন্যা এখনো জানেনা তার বাবা দুনিয়াতে আর বেঁচে নেই!

বাবার কি হয়েছিল তা বুজার কিংবা জানারও বয়স এখনো তাদের হয়নি।পরিবারে চলছে শোকের মাতম।দু শিশু কন্যা না কাঁদছে,না হাসছে? গত ১০ জানুয়ারী সকালে সাহেদ আলম রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউপির ৭নং ওয়াডের এয়াছিন্নগর ছালেহ আহমদ তালুকদার বাড়ীর নিজ বাসা থেকে এনজিও সংস্থা ইপসার একটি অনুষ্টানে যোগ দিতে রাঙ্গুনীয়া উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন।পথিমধ্য ঘটে নির্মম এ সড়ক দূর্ঘঠনা।সাহেদ আলম সীতাকুন্ড উপজেলায় এনজিও সংস্থা ইফসার এরিয়া ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত ছিলেন।তিনি সেদিন অফিসের নির্দেশে রাঙ্গুনীয়া উপজেলা সদরে ইফসার কর্মসূচীতে যোগ দিতে বাড়ী থেকে মোটর বাইক নিয়ে সেখানে যাচ্ছিলেন।সাহেদ দীর্ঘ ৮দিন মৃত্যর সাথে পাঞ্জা লড়ে (১৮ জানুয়ারী)বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় মৃত্যু বরণ করেন।তার বয়স হয়েছিল ৩৫বছর।মরহুম ইদ্রিছ মিয়ার ৫সন্তানের মধ্য সাহেদ সবার ছোট।সাহেদের স্ত্রী ও দু কন্যা সন্তান রয়েছে।বড় মেয়ে ছায়দার বয়স মাত্র ৬বছর, সে জুবলী সরকারী প্রাইমারিতে পড়ে ক্লাস ওয়ানে,ছানিমন ছোট মেয়ের বয়স মাত্র ৪বছর।নিহতের স্কুল বন্ধু ব্যবসায়ী আবদু রশিদ স্বপন বলেন সাহেদ অত্যন্ত সহজ-সরল,নম্র-ভদ্র,সদালাপী ছিলেন।সাহেদের চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার আমাদের বন্ধুরা মিলে ৫০ হাজার টাকা আমরা মেডিকেলে দিয়ে এসেছিলাম।আল্লাহর হুকুম তাকে বাঁচানো গেলনা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন