স্বাস্থ্যই সম্পদ, এটা চিরন্তন সত্য। স্বাস্থ্য মৌলিক অধিকারগুলোরও একটি। তাই স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির জন্য সব দেশ অধিক গুরুত্ব দেয়। এখন আবার শুরু হয়েছে সর্বজনীন স্বাস্থ্য। এটি এসডিজিরও অন্যতম শর্ত। সর্বজনীন স্বাস্থ্যের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে স্বাস্থ্য খাত চরম ভঙ্গুর ও খুবই ব্যয় বহুল। বেশিরভাগ মানুষ স্বাস্থ্য সেবার বাইরে থাকছে। সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৫৪টি। তাতে মোট শয্যা সংখ্যা ৫১,৩১৬টি। এছাড়া, কমিউনিটি ক্লিনিকও রয়েছে। কিন্তু এসবে ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান ও অন্য জনবলের, টেস্টের যন্ত্রপাতি ও অর্থের বিপুল ঘাটতি আছে। সাম্প্রতিক এক খবরে প্রকাশ, ‘দেশে এখন নার্সের প্রয়োজন তিন লাখের বেশি। কিন্তু নিবন্ধিত নার্স আছে ৮৪ হাজার। সে হিসেবে দেশে নার্স আছে প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ২৮%। প্রতি চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন দশমিক ৩০ জন। হু’র মানদ- অনুযায়ী, প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ২৩ জন নার্স থাকার কথা। বাংলাদেশে এ সংখ্যা ৩ জন। এতে একজন নার্সের কাজের বোঝা যতটুকু থাকা দরকার, তার চেয়ে ছয় গুণ বেশি টানতে হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর’। রোগীর সেবা করতে গিয়ে নার্সরাই রোগী হচ্ছে কাজের ভারে! স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বার্ষিক প্রতিবেদন মতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু স্বাস্থ্য ব্যয় ছিল ৫৪ ডলার। ১৩০২ জন মানুষের বিপরীতে একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তার আর ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রতি ২৩৮১ জন মানুষের বিপরীতে একজন নার্স ছিল। অন্য জনবল, যন্ত্রপাতি ও ওষুধের ঘাটতি ব্যাপক। সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা ৯৩% রোগী কোনো ওষুধ পায় না ও প্রায় ৮৫% রোগীকে পরীক্ষা করাতে হয় বেসরকারি হাসপাতালে। এমনকি কারাগারগুলোতেও চিকিৎসকের অনেক পদ শূন্য আছে দীর্ঘদিন থেকে! এসকাপের ২০১৮ সালের প্রতিবেদন মতে, জিডিপি’র বিচারে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৫২টি দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে কম বরাদ্দ দেয়া হয় বাংলাদেশে। যতটুকু বরাদ্দ দেয়া হয়, তার বেশিভাগ খরচ হয় ভৌত অবকাঠামো, প্রশিক্ষণ ও বেতন-ভাতার পেছনে। জাতীয় বাজেটে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তার সবটুকু ব্যয় হয় না। অনেক টাকা ফেরত যায় কোনো কোনো বছর! সর্বোপরি সরকারি স্বাস্থ্য সেবায় সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা, চিকিৎসার মান, দুর্নীতি, অপচয়, অব্যবস্থাপনা ইত্যাদিও ব্যাপক! খবরে প্রকাশ, রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল পুনর্নির্মাণে দুই বছরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা থাকলেও তিন বছরের বেশি সময়ে আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ১৯%। ভৌত অগ্রগতি ২৩%। এরূপ অবস্থা সরকারি স্বাস্থ্য খাতের বেশিরভাগ প্রকল্পেরই। এতে ব্যয় বাড়ছে এবং মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দেশে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা অনেক বেড়েছে। বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৫,০৫৫টি, যার মোট শয্যা সংখ্যা ১,০৫,১৮৩টি। তবে, চিকিৎসা ব্যয় অত্যধিক, যা সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে। চিকিৎসার মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তাই ধনীরা বিদেশে চিকিৎসা করান। গত ৩০ আগস্ট এক দৈনিকে প্রকাশ, গড়ে প্রতিবছর পাঁচ লাখ মানুষ বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের তথ্য মতে, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় ব্যক্তিগত ব্যয় ২০২০ সালে ছিল ৬৯%, যা সার্ক ভুক্ত আটটি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর বিশ্বের গড় ব্যয় ৩২%। ২০১২ সালে সরকার ‘হেলথ কেয়ার ফাইন্যান্সিং স্ট্র্যাটেজি ২০১২-৩২’ প্রণয়ন করেছে, যার লক্ষ্য ২০৩২ সালের মধ্যে আউট অব পকেট স্বাস্থ্য এক্সপেন্ডিচার ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনা। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বরং ব্যয় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে! স্বাস্থ্যসেবায় বিপুল ব্যক্তিগত ব্যয় মিটাতে গিয়ে দেশে বছরে ৬৪ লাখ মানুষ দরিদ্র হচ্ছে। খরচের কথা মাথায় রেখে দেশের ১৬.৪% পরিবার তথা তিন কোটির বেশি মানুষ হাসপাতাল, ক্লিনিক বা কোনো চিকিৎসকের কাছে যায় না প্রয়োজন থাকলেও। এ ক্ষেত্রে ২০২১ সালের নভেম্বর প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন স্মরণীয়। উক্ত প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশের ২৬% মানুষ স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা পায়, ১৩% মানুষ ফার্মেসি বা প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতাবিহীন চিকিৎসক ও ১% মানুষ অন্যান্য মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা নেয়। বিভিন্ন কারণে ৬০% মানুষ দীর্ঘমেয়াদি রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসাসেবা নেয় না। অন্যদিকে, দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ হোমিও এবং ইউনানি চিকিৎসা গ্রহণ করে। অর্থাৎ দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েও বিনা চিকিৎসায় থাকছে। ফলে তাদের দ্বারা কাঙ্খিত উন্নতি হচ্ছে না। অপরদিকে, কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস খুবই ব্যয় বহুল। তাই এই সেবা নিতে পারছে না বেশিরভাগ রোগী। যারা নিচ্ছে তারাও সর্বস্বান্ত হচ্ছে। হু’র প্রতিবেদন-২০২২ মতে, বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে ৫১% শিশু সিজারের মাধ্যমে জন্ম নিচ্ছে। অথচ, মাতৃত্বকালীন নানা জটিলতার কারণে সর্বোচ্চ ১০-১৫% শিশুর জন্ম সিজারিয়ানে হতে পারে।
দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা পাকিস্তান ও ভারতের তুলনায় অনেক কম। যা আছে, তারও অর্ধেকের অবস্থা খারাপ। শিক্ষার মানও উন্নত নয়। গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর এক দৈনিকে প্রকাশ, মেডিকেল কলেজ পরিচালনা আইন অনুযায়ী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জমিতে হাসপাতাল থাকা বাধ্যতামূলক। বর্তমানে দেশে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজ আছে। তন্মধ্যে ১৮টিই নানা সমস্যায় জর্জরিত। যেমন: নিজস্ব কোনো হাসপাতাল ভবন নেই। শিক্ষক সংখ্যা অপ্রতুল। শ্রেণিকক্ষ না থাকায় অন্য প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় চলছে পাঠদান। কলেজ ক্যাম্পাস নেই কয়েকটির। নেই ছাত্রাবাস ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য হোস্টেল সুবিধা। কোথাও কলেজের অবকাঠামো থাকলেও প্রয়োজনীয় লোকবল ও শিক্ষা উপকরণের সংকট আছে। এই অবস্থায় ধার করা চিকিৎসাকেন্দ্র হিসাবে জেলা পর্যায়ের জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে শিখতে হচ্ছে নবীন চিকিৎসকদের। নার্স ও টেকনিশিয়ানের শিক্ষার ক্ষেত্রও তথৈবচ! অপরদিকে, দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। যৎসামান্য যা আছে, তাদের অধিকাংশই রাজধানীকেন্দ্রিক এবং ফি অনেক। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করার জন্য মাত্র একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আছে। আরো ২টি করা হচ্ছে রাজশাহী ও চট্টগ্রামে। এর কার্যক্রম কবে শুরু হবে তা বলা কঠিন। দেশে জটিল ব্যাধি ও নিত্য নতুন সৃষ্ট ভাইরাসের চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল!
অন্যদিকে, দেশে বহু লাইসেন্সহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, যাতে সুফলের চেয়ে কুফলই হচ্ছে বেশি। তাই এসবের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে সম্প্রতি। তাতে সবগুলো বন্ধ হয়েছে কি-না তা জানা যায়নি। এছাড়া, দেশের সর্বত্রই রয়েছে অসংখ্য ফার্মেসি। এমনকি পানের দোকানেও ওষুধ বিক্রি করা হয়! বর্তমানে দেশে লাইসেন্সধারী ফার্মেসির সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ, যার অনেকগুলো নবায়নকৃত নয়। এছাড়া, লাইসেন্সহীন ফার্মেসির সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। ফার্মেসিগুলোর বেশিরভাগেই ওষুধ নীতি মানা হয় না। সর্বোপরি অধিকাংশ ফার্মেসিতে ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ দেওয়া হয় আন্দাজে। অনেকেই সামান্য অসুখেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেন। এছাড়া, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নকল ওষুধে বাজার সয়লাব। খবরে প্রকাশ, দেশে বছরে ৩০০ কোটি টাকার ভেজাল ওষুধ তৈরি হয়। এসব কারণে মানুষের স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর বলেছেন, লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্টবিহীন কোনো ফার্মেসি থাকবে না। ফার্মেসিতে সেবা প্রদানে অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ কর্মী রাখতে হবে। তিনি ফার্মেসি মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ইনভয়েস ছাড়া এবং আন-রেজিস্টার্ড কোম্পানি থেকে কোনো ধরনের কেনাকাটা করবেন না। তার নির্দেশ পালিত হচ্ছে না। লাইসেন্সহীন ফার্মেসির বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। দেশের সর্বত্রই মডেল ফার্মেসি প্রতিষ্ঠার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে অনেকদিন আগে। কিন্তু এ পর্যন্ত হয়েছে মাত্র কয়েকটি। এদিকে, দেশে ওষুধ শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। অনেক দেশে ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। তবে উৎপাদিত ওষুধের মূল্য অত্যধিক।
আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যাধি নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ, বিশ্বে যত রকমের দূষণ রয়েছে, তার সবগুলোই রয়েছে এ দেশে এবং তা বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক। খাদ্যপণ্যের বেশিরভাগ ভেজাল। এছাড়া, পচা, বাসী ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর। তবুও দেশের বেশিরভাগ হোটেলে এসব চলছে। পথে-ঘাটের দোকানে খোলা খাবার বিক্রি হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করার পরও এর ব্যবহার কমেনি। নিত্য নতুন মাদকে দেশ সয়লাব হচ্ছে! ফলে মাদকাসক্তের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এতে বছরে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। দেশে নানা ধরনের দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের হার বিশ্বে সর্বাধিক। তামাকজাত পণ্য থেকে নানা জটিল ব্যাধি সৃষ্টি হয়। তবুও এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে! জীবনের অপর নাম সুপেয় পানি। কিন্তু তারও অভাব রয়েছে। বর্জ্য ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থাও তথৈবচ! গত ৩০ মে প্রকাশিত পিপিআরসি’র প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২০২১ সাল পর্যন্ত মানুষ নিরাপদ পানি পায় ৫৯%, নিরাপদ পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে ৩৯%, স্বাস্থ্যবিধির অন্যান্য মৌলিক নির্দেশকের অগ্রগতি ৫৮%, সাবান অথবা পানি ছাড়া নির্দেশকের জাতীয় অগ্রগতি ৩৬%। এসব ক্ষেত্রে এসডিজি অর্জনে অনেক পিছিয়ে আছে দেশ। প্রতিনিয়তই বিপুল সংখ্যক মানুষ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক ব্যাধি প্রাণঘাতি।
ল্যানসেটের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সূচক-২০১৮ মতে, ১৯৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৩৩তম। বর্তমানে এ সূচকের তেমন পরিবর্তন হয়নি। ইউএনডিপির ‘মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২১-২২’ মতে, ১৯১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১২৯তম, গড় মান ০.৬৬১। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশ কখনোই দারিদ্রমুক্ত, ডিজিটাল ও স্মার্ট কান্ট্রি গড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না। দ্বিতীয়ত: হু’র পরিসংখ্যান- ২০২২ মতে, অসুস্থতার কারণে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ১০ বছর হারিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তো আরো হারাবে!
স্বাস্থ্য খাতের ভঙ্গুরতার প্রধান কারণ, সরকারি বরাদ্দ কম। জিডিপির মাত্র ২% এর কম। এই অবস্থায় দেশের সব মানুষকে স্বাস্থ্য কার্ড দিলেও কোনো লাভ হবে না। স্বাস্থ্য কার্ডের উপকারিতা পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মানুষের দৌরগোড়ায় নিয়ে যেতে এবং সর্বত্রই প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল নিয়োগ ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে হবে। সে জন্য স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ করতে হবে জিডিপির অন্তত ৬%। আর্থিক মন্দা কালেও এটা সম্ভব। অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী প্রকল্প বন্ধ করা হলেই এটা সম্ভব। স্মরণীয় যে, স্বাস্থ্য খাতের বিনিয়োগের রিটার্ন ব্যাপক। হু’র পরিচালক ক্ষেত্রপাল বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে মাত্র ১ ডলার ব্যয় অর্থনীতিতে ২-৪ ডলার হয়ে ফিরে আসে। উচ্চ ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে এই ১ ডলার ২০ গুণ বেশি ফিরে আসে। তাই স্বাস্থ্য খাতের ব্যয় তিনগুণ বাড়ানো লস নয় ব্যাপক লাভজনক। স্বাস্থ্যগত বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি এ খাতের সব দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও অপচয় বন্ধ করতে হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
sardarsiraj1955@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন