বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখা এলাকায় বুধবার তেকে দফায় দফায় ঘটছে গোলাগুলি ঘটনা ঘটেছে। ১৭ জানুয়ারি রাত থেকে থেমে থেমেক্যাম্পের দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে এই গোলাগুলি চলেছে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকেও গোলাগুলি হয়েছে।
অন্যদিকে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের গোলাগুলির মধ্যেই আগুনে ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রায় ৫’শ ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আশ্রয়হারা রোহিঙ্গারা স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য দীল মোহাম্মদ ভুট্টো জানিয়েছেন, ১৭ জানুয়ারি রাতে সৃষ্ট গোলাগুলি এখনো থামেনি।
গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত ও আরো দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। তবে অসমর্থিত খবরে জানা গেছে, ১০ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখা এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ বলেন, বৃহস্পতিবার সকালেও এখানে গোলাগুলি হয়েছে। আগুনে আমাদের শিবিরের ৬২১টি পরিবারের মধ্য প্রায় ৫’শ বসতঘর পুড়ে গেছে। এসব লোকজন অধিকাংশ মিয়ানমার সীমানার ভেতরে আশ্রয় নিয়েছে। আবার কিছু মানুষ বাংলাদেশেও আশ্রয় নেয়।'
মূলত শূন্যরেখা থেকে শিবিরটি উচ্ছদ করতে একটি সশস্ত্র গ্রুপ আগুন ধরিয়ে দেয় বলে দাবি এই রোহিঙ্গা নেতার।
সীমান্তের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তুমব্রু সীমান্তে কোনারপাড়া শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় মিয়ানমারের দুই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে বৃহস্পতিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে শিবিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৫’শ রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে যায়। ফলে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশে বেশকিছু রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।’
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, ‘বৃহষ্পতিবার গোলাগুলির বিষয়টি তার জানা নেই। তুমব্রু-সীমান্তের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শূন্যরেখায় হওয়ায় আন্তর্জাতিক আইনে আমাদের হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার নেই। তবে শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবিরে অধিকাংশ বসতঘর পুড়ে গেছে বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি।’
এদিকে তুমব্রুতে শূন্যরেখায় স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২০১৭ সালের পর থেকে ৪হাজার ২৮০ রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন