বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন টঙ্গীর তুরাগ তীরে লাখ লাখ মুসল্লীর অংশগ্রহণে দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকেই টঙ্গী, গাজীপুর ও তার আশপাশের জেলার মুসল্ল¬ীরা এই বৃহত্তম জুমার জামাতে শরীক হতে দলে দলে ছুটে আসেন। আজ শুক্রবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ইজতেমা ময়দানে লাখ লাখ মুসল্লীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত জুমার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা সা’দের ছেলে দিল্লী থেকে আগত মাওলানা ইউছুফ কান্দলভি।
শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা ওসমানের আ’ম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। দ্বিতীয় পর্বে জুমাপূর্ব বয়ানে বলা হয়, পরকালের চিরস্থায়ী সুখ শান্তির জন্য আমাদের প্রত্যককে দুনিয়াতে জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বীনের দাওয়াতের কাজে মেহনত করতে হবে। ঈমান আমলের মেহনত ছাড়া কেউ হাশরের ময়দানে কামিয়াব হতে পারবে না।
তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগ জামাতের দেশ-বিদেশ থেকে আগত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে প্রতি ওয়াক্ত নামাজশেষে বয়ান করা হয়। বয়ানে ঈমান, আমল, আখলাক ও কালেমা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলে। মূল বয়ান উর্দূতে হলেও বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেয়া বিভিন্ন ভাষাভাষি মুসল্লীদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ওই বয়ান বাংলা, ইংরেজী, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
শুক্রবার সকাল থেকেই দলে দলে ইজতেমা ময়দানে আসতে থাকেন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলার সাধারণ মুসল্লিরা। বেলা ১২টার মধ্যে ১৬০ একর জুড়ে নির্মিত চটের প্যান্ডেল কানায় কানায় ভরে যায়। এর পর ময়দানে স্থান না পেয়ে অনেকেই রাস্তায় বা যে যেখানে ছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে পড়েন। অনেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, কামারপাড়া-মন্নুগেট সড়ক ও আশপাশের অলিগলিতে দাড়িয়ে পড়েন। এতে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল।
শুক্রবার ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনে মুসল্ল¬ীদের নিরাপত্তাদানে র্যাব, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর নিরাপত্তা দিতে সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুরিশ কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম জানান, প্রথম পর্বের ন্যায় দ্বিতীয় পর্বেও প্রায় ১০ হাজার আইন শৃংখলা বাহিনীর সমন্বয়ে ৭ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন