দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্র। এদিকে জেলাজুড়ে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। গ্রাম ও শহরে শীতার্ত মানুষদের সকাল ও রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের দৃশ্য চোখে পড়ছে। প্রতিদিনই বিকাল হলে শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। পরদিন দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকছে। শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি ছিন্নমূল ও দিনমজুররা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রচন্ড শীতে কাবু চা বাগান ও হাওর তীরের মানুষসহ নিম্ন আয়ের মানুষ।
গেল ক’দিন থেকে প্রচন্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে জেলার চা শ্রমিক ও হাওরের বোরো চাষিরা মাঠে কাজ করছেন। প্রচন্ড ঠান্ডা চলমান থাকায় ভরা মৌসুমে বোরো চাষের শ্রমিক সংকট চলমান রয়েছে।
জেলাজুড়ে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুগুলোও প্রচন্ড ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে। ঠান্ডা বেড়ে চলায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষজন। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাওর তীরের বোরো চাষিরা। তীব্র শীতের মধ্যেও তারা ধানের চারা রোপণ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকছেন। জেলাজুড়ে দেখা দিচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই। জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা কেবল বাড়ছেই। ঠান্ডাজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। প্রতিটি হাটবাজারে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান দৈনিক ইনকিলাব’কে জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং পর্যটন জেলার ওপর দিয়ে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তিনি জানান, আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা এ ধরনের থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন