শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

দৈনিক ইনকিলাবের অনলাইনে আদিবাসীদের জমি দখল করে পাঁকা বাড়ী নির্মান শিরোনামে নিউজ প্রকাশের পর প্রশসনের হস্তক্ষেপে ফিরে পেল বসত ভিটে।

গোদাগাড়ী ( রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:৪৩ পিএম

দৈনিক ইনকিলাবের অনলাইনে আদিবাসীদের জমি দখল করে পাঁকা বাড়ী নির্মান শিরোনামে নিউজ প্রকাশের পর থেকে প্রশাসন নড়েচড়ে বসেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। প্রশাসন অবৈধ দখলকারীদের নির্মানাধীন পাঁকা বাড়ী গুড়িয়ে দেন। প্রকৃত মালিকদের নিকট বুঝিয়ে দেন।

প্রশসনের হস্তক্ষেপে বসত ভিটে ফিরে পেয়ে দারুণ খুশি আদিবাসীগণ। উল্লখ্য রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে ৪০ বছর পর বাসতভিটা ফিরে পেলো আদিবাসী পরিবার।

রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের বামলাহাল মৌজার ৯০১ দাগের ৩৪ শতক খাস জমি ভোলা মার্ডি নামক এক আদিবাসীকে ১৯৮৯-৯০ সালে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়।

আদিবাসী পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ গোদাগাড়ী সদরের ভূমিদস্যু সারোয়ার জাহান ডাবলু স্থানীয় শাজাহানের সহযোগিতায় জায়গাটি জবর দখল করে আসছিলো।

দুই-তিন সপ্তাহ আগে হঠাৎ আদিবাসী পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা ভবন নির্মান কাজ শুরু করে। কয়েকদিন আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলুকে অভিযোগ দেওয়ার পরও কোন পরিত্রাণ পাইনি আদিবাসী ভোলা মার্ডি।

স্থানীয় ভাবে জায়গাটি উদ্ধারের জন্য দিকহারা হয়ে পড়েন ভোলা মার্ডি। কোন উপায় না পেয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারী) ভোলা মার্ডি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে রাজশাহী জেলার জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সবুজ হাসানকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সবুজ হাসান সেই নির্দেশনা মোতাবেক শুক্রবার (২০ জানুয়ারী) বিকেলের দিকে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাই। পরে অভিযান পরিচালনা করে বুলটুলাইজার দিয়ে নির্মানাধীন অবৈধ স্থাপনা গুডিয়ে দিয়ে আদিবাসী পরিবারের নিকট জমিটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এই বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সবুজ হাসান বলেন, ডিসি স্যারের নির্দেশনায় তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযান চালিয়ে বাড়ী গুড়িয়ে দিয়ে আদিবাসী ভোলা মার্ডিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানান।

 ভোলা মার্ডি বলেন, দীর্ঘদিন পর আমার জায়গা পেয়ে খুব খুশি হয়েছি।  জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় প্রশাসনকে তিনি ধন্যবাদ জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন