যশোরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পূর্বপশ্চিম আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসব ‘পূর্বপশ্চিম সাহিত্য সম্মাননা ও পুরস্কার’ পেলেন ৭ কবি-সাহিত্যিক। দুদিনব্যাপী এই সাহিত্য আয়োজনের সমাপনী দিন শনিবার (২১ জানুয়ারি) এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন, বাংলা একাডেমির সাবেক সভাপতি ও মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ, গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, কবি মতিন বৈরাগী ও কবি সুমিতাভ ঘোষাল।
পূর্বপশ্চিম সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক ও কবি মাশরুর আরেফিন, কবি কামরুজ্জামান কামু, কথাসাহিত্যিক রুমা মোদক। উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার বিকেলে এই সম্মাননা ও পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবি জাহিদুল হক, আসাদ মান্নান, কবি ফরিদ আহমদ দুলাল, কবি ও কথাসাহিত্যিক হোসেনউদ্দিন হোসেন, কবি সুমিতাভ ঘোষাল, রেজাউদ্দিন স্টালিন, শওকত শাহী, বেনজিন খান, পূর্বপশ্চিম সম্পাদক কবি আশরাফ জুয়েল, কবি অমিত গোস্বামী, কবি ইকবাল রাশেদীন, নির্বাহী সম্পাদক খায়রুল কবীর চঞ্চল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কবি উজ্জ্বল চৌধুরী প্রমুখ।
দ্বিতীয় দিনে সমাপনী অনুষ্ঠান ছাড়াও দিনভর সাহিত্যালোচনা, কবিতাপাঠ, আবৃত্তি, গজলসন্ধ্যার মধ্যে দিয়ে পর্দা নামে এই সাহিত্য-আয়োজনের।
সমাপনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি বাংলা একাডেমির সাবেক সভাপতি ও মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ বলেন, বাংলা সাহিত্য বরাবরের মতোই জীবনের কথা, সমাজের কথা বলে, রাষ্টের কথা বলে। তবে নতুন ও তরুণদের তুলনামূলক বিশ্বসাহিত্যের পাঠের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে। বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বদরবারে ছড়িয়ে দিতে হবে। সাহিত্য উৎসবের মাধ্যমে কবি-সাহিত্যিকরা পারস্পারিক ভাব বিনিময় করেন, তারা নিজেরা যেমন সমৃদ্ধ হন; তেমনি তাদের মাধ্যমে সাহিত্যও সমৃদ্ধ হয়। তাই এমন আয়োজন অব্যাহত রাখতে হবে।’
এর আগে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে যশোরের রামনগরে অবস্থিত আরআরএফ টার্কে এই উৎসব শুরু হয়। দেশ ও বিদেশের কবি-সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণে উৎসব পরিণত হয় লেখকদের মিলনমেলায়। এ দিন সকাল ১১টায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
পূর্বপশ্চিমের নির্বাহী সম্পাদক খায়রুল কবীর চঞ্চল জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পূর্বপশ্চিম বাংলাভাষার শিল্প-সাহিত্য বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে এবং বাংলাদেশ-ভারতে নিয়মিত পত্রিকা প্রকাশ ও সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। দু’দিনের এই সাহিত্য উৎসবে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কার কবি-সাহিত্যিকরা যুক্ত হয়েছিলেন। দেশ-বিদেশের প্রায় আড়াই কবি-সাহিত্যিক এই মিলনমেলায় প্রাণের উচ্ছ্বাসে সাহিত্যাঙ্গনে অবগাহন করেছেন। ভবিষ্যতেও এমন আয়োজনের ধারা অব্যাহত থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন