সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) যেভরা হোটেলে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের এক অনুষ্ঠানে ৯তম আন্তর্জাতিক ফায়ার, সেফটি এবং সিকিউরিটি এক্সপো ২০২৩ আয়োজনের ঘোষনা দিয়েছে ইসাব। অগ্নিনির্বাপণ সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) আয়োজিত নবম এক্সপো নভেম্বরের ২১-২৩ তারিখে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) ইসাবের এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসাব সভাপতি জহির উদ্দিন বাবরের তার স্বাগত বক্তব্যে ইসাবের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবন এবং কারখানা গুলোর নিরাপত্তায় ইসাব সদস্যদের ভুমিকা অপরিশীম। বর্তমানে বিশ্বের সর্বাধিক নিরাপদ কারখানা বাংলাদেশে রয়েছে এবং আমাদের সদস্যরা তাদের সেবা, প্রতিশ্রুতি এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে তা নিশ্চিত করেছেন। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নিয়াজ আলী চিস্তি। তিনি আমাদের সকল কার্যক্রমকে সফল করতে সীমাহীন সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য সকল স্টেক হোল্ডারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ইসাব এখন উৎপাদন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সম্ভাব্য সকল বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য উন্মুখ। তিনি আরও যোগ করেন যে সরকার নতুন বিনিয়োগের জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় সহায়তাকে উত্সাহিত করছে এবং নিশ্চিত করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর এ ধরনের এক্সপো আয়োজনের জন্য এবং শিল্প ও আবাসিক বাড়িগুলিতে অগ্নি নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে দেশকে সহায়তা করার জন্য ইসাবকে ধন্যবাদ জানান । তিনি ইসাবের এগিয়ে যাওয়ার সাফল্য কামনা করেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি অপার সম্ভাবনাময় দেশ। দেশের অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। সরকার ব্যবসায়িক পরিবেশ সহজ করেছে। তাই আমি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার জন্য অনুরোধ করছি, বলেন রাষ্ট্রদূত।
বিশেষ অতিথি হিসাবে, দুবাইস্থ কনস্যুলেট জেনারেলের বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেনও ইসাব এর কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং বলেন যে, তারা আরও ভাল ব্যবসা করার জন্য সমস্ত সমস্যা সমাধান করতে ব্যবসার সাথে আছেন।
“বাংলাদেশের কনসুল জেনারেল ব্যবসায়ীদের সাহায্যে সর্বদা তৎপর। আমি আশা করি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক দীর্ঘতর হবে,” তিনি আরও বলেছিলেন।
ইসাব মহাসচিব মাহমুদুর রশীদ বলেন, ইসাবের পক্ষ থেকে দুবাইতে এই আয়োজনে অংশ নিতে ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ থেকে ৪০ সদস্যের এক ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছিল এবং তারা ২০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে আসবে।
আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সফট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করেছি কারণ আমাদের অনেক ব্যবসায়ী সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ব্যবসা করে। এটি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বাজারে এ খাতের পরিচয় দিতে সাহায্য করবে। আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে কাজ চালিয়ে যাব,” তিনি আরও বলেন।
তিনি জানান, চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীতে ১৫০টি ব্র্যান্ড ও প্রতিষ্ঠান অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জামে বিশ্বের সর্বাধুনিক পণ্য প্রদর্শন করবে। চারটি প্রযুক্তিগত সেমিনারও আয়োজন করা হবে, এবং ইসাব সেফটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ থাকবে সেখানে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক কনস্যুলার কামরুল হাসান, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ খান, ইসাব ইসি কমিটি, সদস্য ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন