ময়মনসিংহের তারাকান্দায় নিজ সেচযন্ত্রের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে গোলাপ হোসেন(৫০) নামের এক কৃষকের রক্তাক্ত মরদেহ।এই ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত কৃষকের মেয়ে মোছাঃ শারমিন আক্তার(২২)।
২২ জানুয়ারি(রোববার) বিকালে এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন তিনি।তারাকান্দা থানা মামলানং-১৫।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার হতে জানাগেছে,২১ জানুয়ারি(শনিবার) রাতে উপজেলার বালিখাঁ ইউনিয়নের বালিখাঁ গ্রামের মৃত নূর হোসেনের পুত্র গোলাপ হোসেন (৫০)তাঁর বাড়ির পাশে নিজের সেচযন্ত্র থেকে জমিতে পানিসেচ দেওয়ার জন্য বের হয়ে যান। এদিকে রাত আনুমানিক ১০টার সময় নিহতের ভাই আলিমুদ্দিন একই সেচযন্ত্র হতে পানিসেচ দেওয়ার জন্য গিয়ে দেখেন তার ভাই গোলাপ হোসেন রক্তাক্ত অবস্থায় সেচযন্ত্রটির পাশে পড়ে আছেন।এ সময় মাথায় রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান তিনি। তখন তার ডাক চিৎকারে আশপাশ হতে লোকজন এগিয়ে আসে। পরবর্তীতে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে ফুলপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দীপক কুমার মজুমদার, তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহটির সুরতাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন ও আলামত হিসেবে একটি চাদর, রক্তমাখা মাটি, বাঁশের লাঠি জব্দ করেন।এরপর আলামতসহ নিহতের লাশটি থানায় নিয়ে আসেন তারা।
এদিকে এই ঘটনায় নিহত কৃষকের মেয়ে মোছাঃশারমিন আক্তার বাদি হয়ে তারাকান্দা থানায় যে হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন তাতে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২/৩ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।এজাহারে শারমিন আক্তার উল্লেখ করেছেন গত কয়েকদিন পূর্বে জমির আইল কাটা নিয়ে প্রতিবেশী হারুন-অর-রশিদ গংদের সাথে তার বাবা গোলাপ হোসেনের বিবাদ হয়।এই সময় হারুর-অর-রশিদ গং তার বাবাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।ঘটনার পর থেকে উক্ত হারুন-অর-রশিদ পলাতক রয়েছেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করেছেন শারমিন।
এই বিষয়ে তারাকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের জানান, উক্ত বিষয়ে নিবিড় তদন্ত অব্যাহত আছে। মৃতের ভাই, মৃতের মেয়ে এবং মৃতের স্ত্রী পুলিশকে জানায়, ৪-৫ দিন আগে জমির আইলকাটা নিয়ে প্রতিবেশী হারুন মিয়ার সহিত সামান্য ঝগড়া বিবাদ হয়।ঘটনার পর হইতে হারুন পলাতক আছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই অব্যাহত আছে।মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন