সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। অবশ্য পতনের বাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। এতে বেড়েছে লেনদেনের গতিও। এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতে প্রায় সবকটি বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে অন্য খাতেও। ফলে লেনদেনের শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক প্রায় ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে। তবে বেলা ১১টার পর থেকে বাজার পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় নাম লেখায়। অবশ্য এ পরিস্থিতিতেও দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখে অধিকাংশ বিমা কোম্পানি। ফলে সার্বিক বাজারে দাম কমার তালিকা বড় হলেও বিমা খাতের সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে।
শেয়ার দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বিমা খাতের কোম্পানিগুলো লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপট ধরে রাখায় বড় পতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে শেয়ারবাজার। সেই সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনের গতি বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে বিমা কোম্পানিগুলো। যে কারণে সূচকের পতনের মধ্যেও লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় ১০০ কোটি টাকার ওপরে বেড়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ৫৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৬টির। আর ১৮৫টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩৬টিই বিমা কোম্পানি। বেশিরভাগ বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার পরও ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৫৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১০১ কোটি ৮ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৬৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ২৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেট্রো স্পিনিং।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বসুন্ধরা পেপার, আমরা নেটওয়ার্ক, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, ওরিয়ন ফার্মা, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট মেনুফ্যাকচারিং এবং প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ২ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ১৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৪টির এবং ৮৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন