দেশে এখন দল ও জোট গড়ার হিড়িক পড়েছে। ইতোমধ্যে এক্ষেত্রে বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগেও অনেক দল ও জোট ছিল। এখন সংখ্যায় বেশি হয়েছে। ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৩৯টি। ইসির নিবন্ধন ছাড়া আরো শতাধিক দল রয়েছে, যার অনেকগুলো নিবন্ধন নেওয়ার চেষ্টা করছে। ৫টি জোট রয়েছে। এসব দল ও জোটে প্রায়ই ভাঙ্গা-গড়া চলছে। বর্তমানের দল ও জোট দু’ভাগে বিভক্ত। একভাগ সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনের পক্ষে। অন্যভাগ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে। এই পক্ষের পাল্লাই ভারী। কারণ, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ভোট ডাকাতি হয়। ভোট ডাকাতরা ওভার স্মার্ট। ফলে দেশে ভোটের অধিকার খতম হয়েছে। যা পুনরুদ্ধারের জন্য দেশের অধিকাংশ মানুষ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে। এমনকি যারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে, তাদেরও বেশিরভাগ মনে করে, এ দেশে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়ার নজির নেই। তবুও সরকার ও তার মিত্রদের অভিমত, সংবিধান মতেই, অর্থাৎ বর্তমান দলীয় সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না। সে সুযোগ নেই। কথাটি ঠিক নয়। সংবিধান সব সময়ই এবং সব দেশেই পরিবর্তনশীল। এ দেশেও এ পর্যন্ত ১৬ বার সংশোধন করা হয়েছে। তাই সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে না, সেটা ঠিক নয়। আসল কথা হচ্ছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাতে সরকারি দলের চরম ভরাডুবি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিচারের সম্মুখীন হওয়ার ভয়ও আছে। মূলত সেই ভয়েই ক্ষমতাসীনরা নিজেদের অধীনেই নির্বাচনে করে জয়ী হয়ে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে। তাতে সামিল হয়েছে নামকাওয়াস্তের ভোটে এমপি হওয়া দলেরা। হালুয়া রুটির লোভেও কিছু দল ও জোট হচ্ছে। সব মিলে ৪০টির মতো দল বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে। তাই আগামী নির্বাচন হবে তাদের এবং উকিল সাত্তারের ন্যায় এমপি করার টোপ দিয়ে ভাগিয়ে নেয়াদের। উপরন্তু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকারী দলগুলোকে বাদ দিয়েই নির্বাচন হবে। তারপর সমস্বরে কোরাস গাওয়া হবে, নির্বাচনে বহু দল অংশ নিয়েছে ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কিন্তু মানুষ তা বিশ্বাস করবে না। ভুয়া নির্বাচন বলেই মনে করবে।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে ৫৪টি দল রয়েছে। এ সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তারা বর্তমান সংসদ বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলন করছে। তাই বিএনপির আন্দোলন দমনের জন্য প্রতিটি সমাবেশে ব্যাপক বাধা, হামলা, মামলা, হত্যা, গণগ্রেফতার, কল্পনাতীত বিষোদগার চলছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ‘ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট-২০২৩’ মতে, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর সহিংসতা ও দমন-পীড়ন বেড়েছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক! দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্টেও বলা হয়েছে, হাজার হাজার সদস্য গ্রেফতার, বাংলাদেশের বিরোধী দল এখন দমন-পীড়নের শিকার। তবুও আ’লীগের এক এমপি সম্প্রতি সংসদে বলেছেন, ‘ডা-া মারা তো শুরুই হয় নাই’। তথাপিও বিএনপির আন্দোলন চলছে। দলটির প্রতিটি সমাবেশেই কল্পনাতীত লোক হচ্ছে। সমমনা দলগুলোরও তাই। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো, বিশেষ করে মার্কিন বলয়ের দেশগুলো বাংলাদেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য প্রায়ই বলছে। মার্কিন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরেও তাই বলেছেন। কোনো দলীয় সরকারের অধীনের নির্বাচনে যে তা হবে না, সেটাও তারা জানে। তারা এও জানে, বাংলাদেশে বহু রাজনৈতিক দল ও জোট থাকলেও নিরপেক্ষ নির্বাচনে এককভাবে নির্বাচন করে এমপি হওয়ার মতো মাত্র ৩-৪টি দল আছে। অবশ্য, বিগত নির্বাচনে ছোট দলগুলোর ভোট অনেক আসনে বিজয়ের ক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর হয়েছে। এছাড়া, মিছিল-মিটিং এবং আন্দোলনেও তাদের ভূমিকা অনেক সহায়ক হয়। অনেকের ফেস ভ্যালুও আছে। তাই বড় দলের কাছে ছোট দলের কদর অতীতেও ছিল, বর্তমানেও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে, এ ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। আগে বামদের কদর বেশি ছিল। এখন ডানদের কদর বাড়ছে। কারণ, বামদের জনসমর্থন কমছে আর ডানদের জনসমর্থন বাড়ছে। তাই ডানরা যেদিকে ঝুঁকছে সেদিকেরই পাল্লা ভারি হচ্ছে। যা’হোক, দেশের সব চেয়ে বড় দল বিএনপি ও আ’লীগ। তাই তাদের যেকোন একটিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হলে সেটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হলেও তা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতোই হবে।
বিএনপির আন্দোলন দমন করার জন্য আ’লীগ বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে একই দিনে। অর্থাৎ পায়ে পাড়া দিয়ে সংঘাত বাঁধানোর চেষ্টা করছে। উপরন্তু র্যাবের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলেও নতুন করে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা না দেয়ায় আ’লীগ চাঙ্গা হয়েছে। তারা দ্বিতীয় অবরোধ নিয়ে চরম আতংকে ছিল। কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত রুশ জাহাজ রূপপুর প্রকল্পের মাল খালাস করতে না পেরে চীনের দিকে ফেরত গেছে। মার্কিন চাপে জাহাজটি বাংলাদেশে ভিড়তে পারেনি আর ভারতে ভিড়লেও পণ্য খালাস করতে পারেনি! ফলে উক্ত প্রকল্পের নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হতে পারে। দ্বিতীয়ত: দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দ্বিতীয় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করার জন্য রাশিয়ার কাছে যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, সেটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। উল্লেখ্য যে, রাশিয়ার আরো ৬৯টি জাহাজের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে। সেসব জাহাজেও পণ্য আনা-নেয়া করা যাবে না। আবার তৃতীয় দেশের মাধ্যমেও নয়। সেটা সম্ভব হলে রূপপুর প্রকল্পের মাল ভারতের মাধ্যমে আনা যেত। কিন্তু তা হয়নি। অবশ্য, ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর গত ১৬ জানুয়ারি বলেছেন, বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থানের কোনো প্রশ্নই নেই। শেখ হাসিনা সম্পর্কে ভারতের নিজস্ব চিন্তাভাবনা রয়েছে। তিনি বাংলাদেশে গণতন্ত্র কায়েম করেছেন। ব্যাস, কে কী বললো না বললো তাতে আ’লীগের কোনো যায় আসে না। ভারত গণতন্ত্রের সার্টিফিকেট দিয়েছে এতেই যথেষ্ট। তাই তাদের ড্যাম কেয়ার ভাব আরো বেড়েছে! বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে বলে তাঁর বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ, বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র নেই। যা আছে তা হাইব্রিড গণতন্ত্র, কর্তৃত্ববাদী শাসন ইত্যাদি, যা বিশ্বে খ্যাত হয়েছে বহুবার। তাই পশ্চিমারা এখন মানবাধিকার রক্ষা এবং নিরপেক্ষ ও সকলের অংশগ্রহণের নির্বাচনের কথা বলছে তার কী হবে? সেটা কিন্তু না ভেবে উপায় নেই। বাংলাদেশ নিয়ে পরাশক্তিদের যে লড়াই চলছে, তাতে ব্যালেন্স করে চলতে না পারলে বিপদ হতে পারে।
আ’লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবেই। তবুও সব বাধা মোকাবেলা করেই গণতন্ত্রপন্থীদের আন্দোলন জোরদার করতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে। কারণ, দেশে সংঘাত সৃষ্টি হলে অচেনা-অজানা লোকরা জ্বালাও-পোড়াও এবং গণতন্ত্রপন্থীদের গুম-খুন করবে। এসবের দায় গণতন্ত্রপন্থীদের উপর চাপিয়ে দেয়া হবে, অতীতে যেমনটি হয়েছে। অতঃপর সরকার স্টিম রোলার চালাবে। তাতে গণতন্ত্রপন্থীদেরই ক্ষতি হবে বেশি। তাই তাদের সাবধানে চলতে হবে এবং নিজেদের ঐক্য দৃঢ় করতে হবে। প্রবীণ রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেছেন, আন্দোলন পাহারা দেয়ার নামে পাল্টা রাজপথ দখল রাজনৈতিক অপকৌশল। অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেছেন, সংলাপের বদলে হুমকি-ধমকি পরিস্থিতি জটিল করে তুলবে।
দেশে রাজনৈতিক সংকট ছাড়াও আরো অনেক গভীর সংকট রয়েছে, যার মধ্যে প্রধান হলো আর্থিক সংকট। স্বল্প সময়ের মধ্যে বিপুল ঋণে ব্যয়বহুল অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে (যার অধিকাংশের রিটার্ন খুব কম) দেশ ঋণের ফাঁদে পড়েছে। আইএমএফ সম্প্রতি জানিয়েছে, জিডিপির অনুপাতে সরকারের ঋণ ছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৪.৬%, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪২.৭% হবে। গত অর্থবছর শেষে সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪৭.৮ বিলিয়ন ডলার, যার ৫৮% অভ্যন্তরীণ। এছাড়া, বেসরকারি বিপুল ঋণও আছে। এরও চূড়ান্ত দায় সরকারেরই। তবুও সরকারের ঋণ বেড়েই চলেছে। তাই অর্থনীতিবিদ ড. আহসান মনসুর বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা ছাপিয়ে সরকার ঋণ নিচ্ছে। ফলে ঋণের বার্ষিক পরিশোধের পরিমাণ বাড়ছে। ইআরডির প্রতিবেদন মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৭৮ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে, যা ২০২৯-৩০ অর্থবছরে ৫১৫ কোটি ডলারে পৌঁছবে! ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘বিশ্ব ঝুঁকি প্রতিবেদন-২০২৩’ মতে, বাংলাদেশের পাঁচটি ঝুঁকির অন্যতম ঋণ সংকট! অর্থ পাচার দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করছে! নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বিগত ১৪ বছরে সরকারি দলের লোকরা দেশ থেকে ১০ লাখ কোটি টাকার বেশি পাচার করেছে। আ’লীগ সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, অর্থ পাচারের ব্যাপারে সরকার খুব একটা মনোযোগী নয়। সরকার শক্ত অবস্থান নিলে এভাবে অর্থ পাচার হতে পারে না। ব্যাংকগুলোও খেলাপি ঋণের ভারে ন্যূজ্ব হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে সম্প্রতি। তাতে অর্থমন্ত্রী শীর্ষ ২০ খেলাপির নাম প্রকাশ করে বলেছেন, বর্তমানে দেশে ঋণখেলাপির সংখ্যা ৭,৮৬,০৬৫ জন। এই খেলাপিদের কারণেই যে ব্যাংকগুলো আগে মানুষকে ঋণ দিত, এখন তারাই বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলে বেঁচে আছে। ঋণ পরিশোধে নানা ছাড় দেয়ার পরও খেলাপির পরিমাণ বেড়েই চলেছে! এদিকে, সরকারের আর্থিক সংকটের কারণে ৮ হাজার কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে ইসির ইভিএম ক্রয়ের প্রকল্প স্থগিত হয়েছে। এ ছাড়া, সরকারিভাবে কৃচ্ছ্রসাধনও চলছে। অর্থাৎ দেশের আর্থিক খাত ডুবতে বসেছে। সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনের সংকট তো রয়েছেই। এ অবস্থায় এলডিসি উত্তরণের চূড়ান্ত পর্যায়ে উত্তীর্ণ হওয়া কঠিন হতে পারে। হলেও পরবর্তী সংকট তথা মধ্য আয়ের ফাঁদ তো রয়েছেই। এই অবস্থায় আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ কিছু সহায়ক হবে। যদিও তাদের শর্ত ও খবরদারি ব্যাপক! তবুও উপায় নেই।
দেশের দ্বিতীয় প্রধান সংকট হচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সংকট ও ভর্তুকি কমানোর জন্য ঘনঘন মূল্য বৃদ্ধি। প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, বিশ্বের কোথাও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দেয়া হয় না। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির তথ্য মতে, ২০২২ সালে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দিয়েছে ২৫টি দেশ। সে তালিকায় বাংলাদেশ ২১তম। যা’হোক, সরকারের ভুল নীতির কারণেই জ্বালানি খাতে ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি ও মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। যেমন: স্বল্প ব্যয়ের সরকারি বিদ্যুৎ প্লান্টের বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে গুরুত্ব না দিয়ে অধিক মূল্যে বেসরকারি বিদ্যুৎ ক্রয় ও বিপুল অংকের ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদান, দেশের গ্যাস অনুসন্ধানে গুরুত্ব না দিয়ে আমদানির দিকে গুরুত্বারোপ এবং দেশের মজুদ কয়লা উত্তোলন না করে আমদানি করা। কিন্তু জ্বালানি সংকট ও মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় ও সব ক্ষেত্রের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। দেশে ভয়াবহ আরো সংকটের অন্যতম হচ্ছে ব্যাপক পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব, আয় বৈষম্য, মানব পাচার, আইনশৃংখলার অবনতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিটেন্স টাকার মান ও বিনিয়োগে ক্রমাবনতি ও ডলার সংকট।
বর্ণিত সংকটগুলোর অধিকাংশই হয়েছে প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুশাসন না থাকায়। তাই দেশকে ভয়াবহ সংকট থেকে উদ্ধার করে কাক্সিক্ষত উন্নতির জন্য প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক, যা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও তৎপ্রেক্ষিতে গঠিত সরকার ছাড়া সম্ভব নয়।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
sardarsiraj1955@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন