জমে উঠেছে আন্তর্জাতিক সামাজিক সংগঠন ন্যাশনাল এ্যাসোসিয়েশন অব এ্যাপেক্স ক্লাব নির্বাচন-২০২৩। দেশের শীর্ষ পর্যটন নগরী কক্সবাজারে হোটেল সি প্রিন্সেসে এবারের এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশের ন্যাশনাল কনভেনশন ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আজ শনিবার অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন ঘিরে সারাদেশের এ্যাপেক্সিয়ানরা কক্সবাজারে জড়ো হতে শুরু করেছেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব আয়োজন সম্পন্ন করের্ছে এ্যাপেক্স ক্লাব অব ঢাকা। পর্যটন মৌসুম ও নির্বাচন ঘিরে এ্যাপেক্সিয়ানদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এবারের নির্বাচনে ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট (এনভিপি) পদে নির্বাচন করছেন সামাজিক সংগঠক এমএ সায়েম টিপু এবং সরকারি কর্মকর্তা এসএম হাছান আলী। তবে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সামাজিক সংগঠনের এনভিপি পদে এসএম হাছান আলীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী তিনি এই সংগঠনের এই পদে নির্বাচন করতে পারেন কি না সেটা নিয়ে নতুন সঙ্কটের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দিনের পর দিন তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করে বেড়াচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে এটিও তিনি করছেন সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে। এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, যুব উন্নয়ন অধিদফতর, উপ-পরিচালক সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ হাছান আলীর এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচনের বিষয়টি তার জানা নেই। তবে তিনি যদি সত্যিই নির্বাচন করেন, সেটি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। কর্তৃপক্ষ সরকারি চাকরিবিধি দেখে যদি মনে করে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন, তখনই তিনি অনুমতি পেতে পারেন। যদি চাকরিবিধিতে নির্বাচন করার সুযোগ না থাকে তাহলে তিনি তো নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে কোনো চিঠি বা দরখাস্ত আসেনি,বিধায় তার নির্বাচন করার বিষয়টি আমার জানা নাই।
এদিকে সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী যুব উন্নয়ন অধিদফতর কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ হাছান আলী যে এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশের এনভিপি পদে নির্বাচন করতে পারেন না, সেটি এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশের ক্লাব এপেক্স ক্লাব অব পল্লবীর পক্ষ থেকে এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশের বর্তমান ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট এপেক্সিয়ান রুহুল মইন চৌধুরীর বরাবর একটি দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। এপেক্স ক্লাব অব পল্লবীর সেক্রেটারি এপেক্সিয়ান মো, মইনুল ইসলাম দরখাস্তটি করেন। তিনি তার দরখাস্তে পরিস্কারভাবে উল্লেখ করেছেন, সরকারি চাকরিবিধি ১৯৭৯-এর বিধান অনুযায়ী এবং অফিস অর্ডার ১৬/০১/১৯৯৩-এর শর্তমতে তিনি এই পদে নির্বাচন করতে পারেন না। শুধু তাি নয়, এই বিধান অনুযায়ী এই পদে নির্বাচন করতে হলে তাকে মনোয়নপতত্র জমা দেবার সময় নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ জমা দেবার কথা। কিন্তু তিনি সেটি জমা দেননি। এই কারণে তার নির্বাচনী মনোয়ন পত্র বাতিল হওয়ার কথা। এদিকে এ বিষয়ে মোহাম্মদ হাছান আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, নির্বাচনের অন্যান্য পদে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন