আগামী ২০ মার্চ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পৌরসভা নির্বাচন।আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার স্বর্বত্রে বিরাজ করছে নির্বাচনী হাওয়া, লড়ে চরে দাঁড়িয়েছেন মেয়র প্রার্থীরা। তারা দুই দিকেই রক্ষা করে চলার চেষ্টা করছেন।একদিকে প্রতিদন্দীতা মুলক নির্বাচনের সম্ভাবনা মনে করে গণসংযোগ চালিয়েছেন যাচ্ছেন।অন্যদিকে তারা মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন এবং মেয়র পদে দলীও মনোনয়ন পেতে উপজেলার দর্শনীয় স্হান গুলোতে বিশাল আকৃতির বিলবোর্ড তোরণ ব্যানার ও পোস্টার দিয়ে কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করার চেস্টা করছেন । প্রার্থীরা ঢাকায় গিয়ে যে যার মতো করে তদবির করছেন যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গে। এছাড়াও তারা সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। এদিকে তাদের সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মেয়র পদে দেখতে চেয়ে তাদের ছবি পোস্ট করে প্রচারণা চালাচ্ছেন কে হচ্ছেন পৌর পিতা এনিয়ে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চায়ের দোকানে চলছে নানা আলোচনা। অপর দিকে এ উপজেলার পৌরসভাটি আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নীজ নির্বাচনী এলাকা। এ পৌরসভায় যারা মনোনয়ন চেয়ে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন তারা সকলেই আওয়ামীলীগের সে কারণে এখানে মেয়র পদে মনোনয়ন দিলে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অন্য কোন প্রার্থী প্রতিদন্দীতা করবেন না ফলে মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদন্দীতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন তার কোন টাকা পয়সা ও খরচ করতে হয়না। সেকারণেই মনোনয়নের দিকে বেশি মনযোগী প্রার্থীরা। আবার কেউ কেউ বলছেন এখানে যেহেতু সব প্রার্থীই আওয়ামীলীগের সেহেতু জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য প্রতিদন্দীতা মুলক উন্মুক্ত নির্বাচন দিতে পারেন দলীয় প্রধান। তবে এখানে মনোনয়ন দেওয়া হবে, না প্রতিদন্দীতা মুলক নির্বাচন হবে এমন দুটি মতের কোনটিই পরিস্কার না,যে কোন সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশার পাশাপাশি রবিবার ( ২৯ জানুয়ারী) সকাল ১১ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে গণসংযোগ করেন। এ সময় তার সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাজরা সহ এলাকার বেশ কয়েকজন মুরুব্বী ও যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ নির্বাচনে পৌরসভাটি থেকে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৬ জন নেতা নেত্রী মেয়র পদে মনোনয়ন বোর্ডের চেয়ারপার্শন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মনোনয়ন চেয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের মাধ্যমে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।এদের মধ্যে অধিকাংশ প্রার্থীই মনোনয়ন পাওয়ার আশায় জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। বাকি কয়েকজন প্রতিদন্দীতা মুলক উন্মুক্ত নির্বাচনের জন্য ও প্রস্তুতি গ্রহন করে ভোটারদের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন