কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী তিন বছরে ভোজ্যতেলে ৪০ শতাংশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম. আব্দুল লতিফের টেবিলে উপস্থাপিত লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘রোপা আমন-পতিত-বোরো শস্যবিন্যাসে সরিষাকে অন্তর্ভুক্ত করে আবাদি এলাকা বাড়ানো হচ্ছে। তাছাড়া অনাবাদি জমি, চরাঞ্চল, হাওর, পাহাড়ি এবং উপকূলীয় এলাকাগুলোকে তেল ফসলের আবাদের আওতায় আনা হচ্ছে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে দেশে তৈলবীজ উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়ন্ত্রণাধীন “তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি” শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হলো তেল জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদাপূরণ ও আমদানি ব্যয় হ্রাস করা। প্রকল্পটি ৫টি তেলফসল যেমন- সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন ও তিল ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের অধীনে তেল ফসলের মোট উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৌশল হিসেবে স্বল্পজীবনকালের রোপা আমনের মাঝে স্বল্পজীবনকালের সরিষা আবাদ করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বিভিন্ন শস্যবিন্যাসে তেল ফসলকে অন্তর্ভুক্ত করে মাঠে প্রদর্শনী বাস্তবায়ন, প্রশিক্ষণ, মাঠ দিবস এবং কর্মশালার আয়োজন করছে। বর্তমান ২০২২-২০২৩ অর্থ-বছরে প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪টি জেলার ২৫০টি উপজেলায় ১৩ হাজার ৯৬৯টি বিভিন্ন তেল ফসলের প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ৩ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমি তেল ফসলের আওতায় এসেছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রকল্পটিতে প্রধান তেল ফসল সরিষা আবাদের দিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বেশি। বিগত ২০২১-২০২২ অর্থ-বছরে সরিষার আবাদ এলাকা ছিল ৬ থেকে ১০ লাখ হেক্টর। বর্তমানে ২০২২-২০২ অর্থ-বছরে প্রকল্পের প্রভাব এবং সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচি গ্রহণের ফলে সরিষার আবাদ এলাকা ৮ থেকে ১২ লাখ হেক্টরে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৩৩ শতাংশ জমিতে সরিষা আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা থেকে বর্ধিত উৎপাদন হবে ২ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন