ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের শহীদ খানের বাসার সামনে মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারি মধ্যরাতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী বাদীর। পুলিশ অবিস্ফোরিত দুইটি ককটেল উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বি বাদী হয়ে নাম উল্লেখ করে বেশ কয়েকজন বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে।
অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা দাবি করছেন এ ঘটনা আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক। সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা এ ঘটনার সৃষ্টি করে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার বিবরন দিয়ে ওসি জানান বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের কর্মীসভা শেষ করে কার্যালয় থেকে বের হয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের শহীদ খানের বাসার সামনে বেশ কয়েকজন বিএনপির নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের টার্গেট করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটনাস্থলে তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। পুলিশ অবিস্ফোরিত দুইটি ককটেল উদ্ধার করেছে।
মামলার বাদী পক্ষিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বির দাবি, বিএনপির নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের উপর ককটেল নিক্ষেপ করেছিল। সেজন্য তিনি বোরহানউদ্দিন থানায় বেশ কয়েকজন বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছেন।
অন্যদিকে বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান কবিরের দাবি, সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর দোষ চাপাচ্ছে। তাঁর দাবি, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাঁরা নিজেরাই পুলিশকে খবর দেয়।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে এ ঘটনায় যাঁরা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।মামলা নং - ১ তাং ০১/০২/২৩।
এ ব্যাপারে ভোলা - ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহীম ইনকিলাবকে জানান আওয়ামীলীগ জনশুন্য হয়ে বিএনপির আন্দোলনকে রুখে দেয়ার জন্য বিএনপি নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আন্দোলন থেকে সরিয়ে রাখার চেস্টা করছে এবং এক নাম্বার আসামী এক সপ্তাহ পূর্বে থেকে সেচ্চাসেবক দলের নেতা রুবেলকে জামিনের জন্য ঢাকায় অবস্থান করছে।এটাই প্রমান করে মামলাটি সম্পুর্ন মিথ্যা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন