মাদারীপুরে আড়াইশো শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। হস্তান্তরের প্রায় সাড়ে তিন বছর পর তড়িঘড়ি করে বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান। তবে হাসপাতালটির কার্যক্রম পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হধযয়ৃয়নি। জনবলের অভাবে আংশিক কার্যক্রম চালু হয়েছে।
সদর হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, মাদারীপুর পৌরসভার সৈয়দারবালী এলাকায় একশো শয্যা থেকে আড়াইশো শয্যার সদর হাসপাতালটি সাততলা ভবনে উন্নীত করা হয়। এতে ৩০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। নির্মাণ শেষে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে নতুন ভবনটি হস্তান্তর করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। এরপর নতুন ভবনে সংযুক্ত করা হয় তিন কোটি টাকার সিটি স্ক্যান মেশিন, ডিজিটাল এক্সরে আল্ট্রাসনোগ্রাম, ১০টি কার্ডিয়াক মনিটরসহ কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। এটি চালুতে সবশেষ ১৪ নভেম্বর উচ্চ আদালতের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ দেন সুপীম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল আশিক। এরপর হাসপাতালটি চালু না মকহওয়ার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেনসমমমম হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী দ্বৈত বেঞ্চ আগামী দুই মাসের মধ্যে আদালতকে হাসপাতালটি চালু না হওয়ার কারণ জানাতে নির্দেশ দেন। এর আগেও আড়াইশো শয্যার সদর হাসপাতালটি চালুর দাবিতে মানববন্ধন, প্রতীকি অনশন আয়োজন করে বিভিন্ন ¯ে^ সংগঠন। তবে পর্যপ্ত জনবল না থাকায় হাসপাতালটি চালু করা প্রায় অসম্ভব ছিল। সবশেষ অস্থায়ী ভিত্তিতে কিছু জনবল নিয়োগ দিয়ে হাসপাতালটি আংশিক চালু উদ্যোগ নেওয়া হয়। বর্তমানে আড়াইশো শয্যার নতুন হাসপাতালটির মাত্র ৫০ শয্যা চালু হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেন, ‘আমাদের আগেই একশ শয্যার হাসপাতাল ছিল। এখন আমারা মোট ২৫০ শয্যার হাসপাতাল উদ্বোধন করলাম। কিন্তু লোকবলের কারণে আমরা ৫০ শয্যার কার্যক্রম করতে পারবো। সব মিলিয়ে মোট ১৫০ শয্যার কার্যক্রম এইখানে পরিচালিত হবে। আগামীতে লোকবল নিয়োগের মাধ্যমে পরিপূর্ণ ভাবে ২৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু করা হবে।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপীম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল আশিক। তিনি বলেন, ‘আমরা আংশিক উদ্বোবন চাইনি। পুরোপুরি চালু না হলে সাধারণ মানুষ তার চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে। তাই দাবী জানাই দ্রুতই সম্পূর্ণ হাসপাতাল চালু হোক।’
মাদারীপুর শহরের স্থানীয় বাসিন্দা ও নিরাপদ চিকিৎসা চাই সংগঠনের সদস্য মেহেদী হাসান বলেন, নতুন ভবনটিতে যে সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে তা কিছুই এখন আমরা পাবো না। শুধু ৫০ শয্যা বাড়ানো হয়েছে। আগের ১০০ শয্যার হাসপাতালে মানুষ ফ্লোরে বা নিচে চাদর পেতে চিকিৎসা নিত, এখন রোগীদের আর চাদর বা ফ্লোরে সেবা নিতে হবে না।’
এ সম্পর্কে মাদারীপুরের সিভিল সার্জন মুনীর আহম্মেদ খান বলেন, ‘আড়াইশ শয্যার নতুন ভবনে করোনা রোগীদের চিকিৎসা ও টিকা দেওয়ার কার্যক্রম করা হয়েছে। তবে এখন আর করোনা রোগীর চাপ নেই। আগের একশ শয্যার হাসপাতালে দুর্ভোগ ছিল। রোগীরা শয্যা না পেলে ফ্লোরে বা নিচে চাদর পেতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকতো। এর জন্য এলাকার জনগণের জোড় দাবি ছিল, যেন নতুন ভবনটি দ্রæত চালু হয়। তাদের দাবির কারণেই, আমরা আংশিকভাবে হলেও হাসপালটি চালুর উদ্যোগ হাতে নেই। আশা করছি, এখন থেকে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আগে থেকে সহজ হবে।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন বলেন, ‘আমরা হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর ল¶্যে সবধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। মূলত জনবল নিয়োগের জন্য কয়েকটি মন্ত্রনালয় জড়িত রয়েছে, তাই একটু দেরি হচ্ছ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন