এএফসি এশিয়ান কাপের ২০২৭ সালের আসরের স্বাগতিক নির্বাচনের সব প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে। স্বত্ব পেয়েছে সউদী আরব। তবে এ নিয়ে আলোচনা থেমে নেই। বিশেষ করে তাদের পক্ষে ফিলিস্তিন ভোট না দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে কড়া সমালোচনা। ‘অনিচ্ছাকৃত ভুলের’ জন্য এবার ক্ষমা চাইলেন ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জিব্রিল রাজৌব।
গত বুধবার বাহরাইনের মানামায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান ফুটবল কংগ্রেসের ৩৩তম কংগ্রেসে ২০২৭ এশিয়ান কাপের আয়োজক হিসেবে সউদী আরবের নাম চূড়ান্ত হয়। এর ভোটাভুটিতে সউদী আরবকে যে ফিলিস্তিন ভোট দেয়নি, বিষয়টি ইচ্ছাকৃত নয় বরং ‘ভুল’ ছিল বলে জানিয়েছেন রাজৌব। আরবের পত্রিকা আশরাক আল-আউসাতকে এমনটাই বলেছেন তিনি, ‘এটা স্পষ্ট যে, ভোটিং চলার সময় আমাদের প্রতিনিধি দল একটা কারিগরি সমস্যায় পড়েছিল। নির্বাহী অফিসে পশ্চিম এশিয়ার প্রতিনিধি নির্বাচনের পর আমি আমার শারীরিক সমস্যার কারণে সেখান থেকে চলে গিয়েছিলাম। এশিয়ান কাপ আয়োজনের প্রশ্নে ফিলিস্তিন আগের মতোই যেকোনো আরব দেশের পক্ষে, এবং সেটা সউদী আরবের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।’
পুরো বিষয়টা যে সত্যিই অনিচ্ছাকৃত ছিল, সেটা বোঝাতেই কি-না রাজৌব আরও বলেন, ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি দল এবারই প্রথম এই কনফারেন্সে অংশ নেয়। ভোটাভুটির পর সউদীর টিভি চ্যানেল ‘আল এখবারিয়া’ জানায়, ইরানের ফুটবল সংস্থাও সউদী আরবের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু ফিলিস্তিন দেয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। টুইটারে মোহাম্মদ আলজাহরানি নামের একজন লেখেন, ‘সে ক্ষমা প্রার্থনা করুক। সউদী আরব ৪৩ ভোট পেয়ে জিতেছে। তাদের ভোট আমাদের দরকার নেই। এটা কোনো পার্থক্য গড়বে না।’ আব্দুল্লাহ আলসায়েদ নামের আরেকজন টুইটারে লেখেন, ‘তারা যা কিছু করেছে, প্রায় সবটাই ভুল-ঐতিহাসিক। তাদের জোট একটা ভুল, তাদের গণমাধ্যম ভুল পথে চালিত, ফিলিস্তিনের স্বার্থরক্ষায় তাদের যে নীতি, তাও ভুল।’ এই টুইটার ব্যবহাকারী আরও বলেন, আসলে সমস্যাটা হলো ফিলিস্তিনের নেতাদের, দেশটির মানুষের নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন