শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রবাস জীবন

আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক মামুনুর রশিদের গোল্ডেন ভিসা লাভ করোনাকালীন সময়ে ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধার দুঃসাহসিক অবদানের স্বীকৃতি

আরব আমিরাত থেকে ছালাহউদ্দিন | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:৪৯ পিএম | আপডেট : ৬:৪৯ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আমিরাতে দশ বছর মেয়াদি গোল্ডেন ভিসা প্রাপ্ত মামুনুর রশিদ।


আরব আমিরাতে করোনাকালীন সময় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ, সতর্কতা, কর্মদক্ষতা, সাহসিকতা, মানবিকতা, মনোবল, দায়িত্ববোধ ও সততায় ফ্রন্টলাইন করোনাযোদ্ধা হিসেবে দুঃসাহসিক অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ আমিরাত সরকারের দশ বছর মেয়াদি গোল্ডেন ভিসা পেলেন এনটিভির আমিরাত প্রতিনিধি, আমিরাতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও অনলাইন পত্রিকা বাংলা এক্সপ্রেসের নির্বাহী সম্পাদক প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ।
২০২০ সালের মার্চ মাসে আরব আমিরাতের বাণিজ্য নগরী দুবাইয়ের নাইফ এলাকাকে যখন দুবাই প্রাদেশিক সরকার 'রেড জোন এলাকা' হিসেবে ঘোষণা করে লকডাউন করে দেয় তখন সবাই ছিলেন আত্মরক্ষায় ঘরমুখি। ওই সময় তিনি দুবাই প্রশাসনের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-এর সাথে লকডাউন এলাকায় সংকটাপন্ন অসহায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে একঝাঁক তরুণ প্রবাসী বাংলাদেশিকে নিয়ে 'বাংলা এক্সপ্রেস টিম' নামের ১৯ সদস্যের একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে প্রবাসীদের সেবায় ঝাপিয়ে পড়েন। টানা এক মাস ধরে টিম লিডার মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে পরিচালিত টিমের লোকজন তখন দুবাইয়ের ওই এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশির সেবা দিয়ে যান। সে সময় নাইফ এলাকায় কাজের পাশাপাশি প্রবাসীদের সচেতন করতেও প্রতিদিন আমিরাত সরকারের দিকনির্দেশনার সংবাদ পরিবেশন করতেন।
দেশীয় প্রবাসীদের সেবায় দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন তার টিম নিয়ে। উক্ত এলাকায় লকডাউন শেষ হয়ে গেলেও তখন থেমে থাকেনি তার টিমের সদস্যরা। প্রবাসী বাংলাদেশিদের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে পৌঁছানো, পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর সিডিউল করে দেয়া এবং বাংলা এক্সপ্রেস-এর পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রীর মাধ্যমে সহযোগিতা করে গেছেন নিরলসভাবে। করোনা পরবর্তী সময়ে দুবাই প্রাদেশিক সরকারের পক্ষ থেকে তখন টিমের সবাইকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলা এক্সপ্রেস-এর সম্পাদক ও প্রকাশক বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মাদ হারুনুর রশিদের প্রথম সন্তান মামুনুর রশিদ ১৯৯৮ সালে পরিবারের সাথে দুবাইয়ে আসেন। শৈশব থেকে কৈশরে পদার্পন, প্রাইমারী থেকে ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত সবই সমাপন করেছেন আমিরাতেই। দুবাই-এর হ্যারিয়েট ওয়াট ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া শেষ করেন তিনি। শিক্ষা জীবন সমাপ্তি করে নিজস্ব মিডিয়া ব্যবসার পাশাপাশি একজন সফল সংগঠক ও সাংবাদিক হিসেবে আমিরাতে বেশ পরিচিতি।
মামুনুর রশিদ জানান, তার এ অর্জনে খুবই আনন্দিত ও উৎফুল্ল তিনি। এ জন্য আমিরাত সরকারকে মোবারকবাদ জানান এবং বলেন, এ সম্মান সকল প্রবাসী ও বাংলাদেশের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন