শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

লিঙ্গ প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে

ড. অজয় কান্তি মন্ডল | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

কিছুদিন আগের ঘটনা। ঢাকা-আরিচা সড়ক হয়ে গ্রামের বাড়ির পথে রওনা হয়েছি। ঢাকা শহরের যানজট ও কোলাহল ছেড়ে মানিকগঞ্জের শেষপ্রান্ত হয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পানে আমাদের পরিবহনটি আপন গতিতে ছুটে চলেছে। ফেরি ঘাট থেকে আমরা খুব বেশি দূরে নেই। খেয়াল করলাম গাড়ি ভর্তি যাত্রীদের মাঝে কেমন একটু নিস্তব্ধতা। বুঝতে পারলাম, পড়ন্ত বিকেলে যখন সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে তখন সবার মাঝেই ঘুমের ভাব হয়েছে। অনেকে ঘুমের রাজ্যে চলেও গেছে। এমন নিস্তব্ধতা ও আশপাশের অনুকূল পরিবেশ পেয়ে নিজের চোখের দুই পাতাও বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হলো। গাড়ির যাত্রাপথে যদিও আমার ঘুম ক্ষণস্থায়ী তারপরেও কেমন একটা তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব চলে এলো। একটু পরই হঠাৎ কিছুটা অস্বাভাবিক শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। আচমকা সামনে দেখতে পেলাম বেশ অস্বাভাবিক ভঙ্গিমায় দুইজন মহিলা আমাকে উদ্দেশ্য করে তাদের অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করছেন। ঘুম থেকে চোখ মেলেই এধরনের পরিস্থিতি কারও জন্য শুভকর নয়। আমারও মেজাজ বিগড়ে গেল। একটু রাগান্বিত হয়েই তাদের দিকে তাকাতেই বলে উঠলেন ‘বাবু ১০০ টাকা দে’। পাশের দুই আসনে আমার স্ত্রী ও কন্যা ছিল। তারাও ঘুমিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এনাদের চিল্লাপাল্লায় ঘুম থেকে জেগে উঠল। পরে খেয়াল করলাম, এরা আসলে লিঙ্গ প্রতিবন্ধী, সবাই যাদের হিজড়া বলে চেনে। আমাদের পরিবহনটি তখন ফেরিতে উঠে গেছে। আর সেই সুযোগে এই হিজড়া দুইজন আমাদের পরিবহনে উঠেছে টাকা তুলতে। তাদের দাবি, আমরা সপরিবারে বাড়ি যাচ্ছি, তাই খুশি হয়ে ১০০ টাকা দিতে হবে। আমি ৫০ টাকার একটা নোট বের করে দিতে গেলে তাদের এক কথা, ১০০ টাকার নিচে হবে না। আমি তর্কে না গিয়ে ১০০ টাকা দিয়েই বিদায় দিলাম। কেননা, হিজড়া সম্পর্কে পূর্বে আমার বেশ কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা আছে।

প্রায় সাত বছর আগের কথা, আমার মেয়ের বয়স যখন ১ মাসের মতো। তখন হিজড়াদের একটি দল আমাদের বাসায় গিয়েছিল। মেয়েকে কোলে নিয়ে একটু নাচিয়ে তাদের দাবি ৫০০০ টাকা দিতে হবে। আমি বাসায় ছিলাম না। পরে তারা আমাকে ফোন দিয়ে বলে ৫০০০ টাকার নিচে আমরা বাসা থেকে যাবে না। আমার স্ত্রী কোনো উপায়ন্তু না দেখে ৪০০০ টাকা দিয়ে কোনমতে তাদের বিদায় করে। এই ঘটনার অল্প কিছুদিন পরই আবার আমাদের গ্রামের বাড়িতে অন্য একটি দল হানা দেয়। একইভাবে আমার মেয়েকে একটু কোলে নিয়ে ৩০০০ টাকা, শাড়ি কাপড়সহ অনেক কিছু দাবি করে। আগে অন্য একটি হিজড়া দলকে টাকা দেওয়া হয়েছে বললেও তারা এসব কিছু শুনতে নারাজ। সেখানে ২০০০ টাকা দিয়ে ওই দলকে বিদায় করা হয়েছিল। আমি দেখেছি, কোনো পরিবারে বাচ্চা হওয়ার পরে এই হিজড়াদের কাছে কীভাবে যেন সংবাদ চলে যায়। এরপর তারা দলে ভারি হয়েই এক এক বাড়ি গিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা, গহনাসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য অনেক কিছু দাবি করে। তাদের দাবিকৃত অর্থ বা অন্যান্য সামগ্রী কেউই দিতে অস্বীকার করলে তখন সেখানে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির তৈরি হয়। কেননা, হিজড়াদের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, কথাবার্তা এবং চালচলন কখনো কখনো ভদ্র সমাজের সাথে বেমানান।
ঢাকা শহরের গণপরিবহনগুলোতেও হিজড়াদের আনাগোনা খেয়াল করেছি। কিছুদিন আগে দেখলাম, ঢাকার গণপরিবহনের এক যাত্রীর সাথে টাকা চাওয়া নিয়ে প্রায় মারামারির পর্যায়ে চলে গেছে। ঘটনা ঘটছে ট্রেনেও। ট্রেনের প্রতিটি যাত্রীর কাছ থেকেও এরা টাকা দাবি করে। দূরপাল্লার পরিবহন, ট্রেন, লঞ্চ, গণপরিবহন সব ধরনের যানবাহনে তারা যাত্রীদের নিকট টাকা চায়। এছাড়াও লঞ্চ ঘাট, বাস টার্মিনাল, ট্রেন স্টেশনে বসে থাকা বা হাঁটা চলা করা যাত্রীদের থেকেও তারা টাকা নেয়। এমনকি বিভিন্ন দোকান ও বাসায় ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের নিকট থেকেও প্রতিনিয়ত চলছে হিজড়াদের টাকা তোলা। কোথাও বিয়ের অনুষ্ঠান হলে সেখানে টাকার দাবিতে হিজড়াদের গ্রুপ চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি এমনই একটা খবর দেখলাম এক দৈনিক পত্রিকায়। খবরের বলা হয়েছে, রাজধানীর মিরপুরে একটি বিয়েবাড়িতে হিজড়াদের একটি দল ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বাড়ির কর্তা একসাথে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে রাজি না হলেও তাদের পীড়াপীড়িতে দেড় হাজার টাকা দেন। এতে হিজড়ারা ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং তাদের দাবিকৃত ২০ হাজার টাকার বিষয়ে তারা অটল থাকে। একপর্যায়ে তারা চিৎকার-চেচামেচি করতে থাকে। এতে গৃহকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে বাসার দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে ভেতরে অবস্থান নেয়। হিজড়ারা তখন দরজা ধাক্কাধাক্কি ও লাথি মারতে থাকে। তারা বাইরে থেকে হেজবল্ট লাগিয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে গৃহকর্তা ঘটনাটি পাশের থানায় জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে চার হিজড়াকে আটক করে গৃহকর্তা ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে।

আমার জানামতে, এরকম ঘটনা অহরহ ঘটে থাকে। হিজড়াদের দাবি করা টাকার পরিমাণ এতটাই বেশি থাকে, যে কেউই এত টাকা দিতে অপারগতা দেখাবে। কোনো প্রতিবন্ধী, ভিখারি বা অন্য কোনো ব্যক্তি যখন পথচারী বা কারো কাছে সাহায্য চায় তখন তাদের কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার দাবি থাকে না। আবার সবাইকে যে দিতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে না। অর্থাৎ কেউ সাহায্য দিতে চাইলে যার যার সাধ্যমত দিতেও পারে আবার নাও পারে। কারও প্রতি কোনো জোর জবরদস্তি করা বা টাকা না দিলে মান-সম্মান হানিকর কোনো পরিস্থিতির শিকার হতে হয় না। কিন্তু হিজড়াদের ব্যাপারটা ভিন্ন। তাদের দাবি বেশিরভাগ মানুষের সাধ্যের বাইরে। আবার তাদের দাবি পূরণ না করতে পারলে সবাইকে পড়তে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে। অনেকেই মান-সম্মানের ভয়ে তাদের দাবিকৃত টাকা তড়িঘড়ি করে পকেট থেকে বের করে দেয়, আবার অনেকেই এড়িয়ে যেতে চায়। তাদের খুব কম ব্যক্তিই এড়িয়ে যেতে পারে। কেননা, তারা মাঝেমধ্যে কটুবাক্য ব্যবহার করে থাকে।
উপার্জনের উপায় হিসেবে হিজড়াদের সচারাচার এসব চর্চা দেখা গেলেও তাদের কিছু দল রয়েছে, যারা গ্রামগঞ্জে পালাগানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে। অনেকে অন্য কিছুও করে। মূলত এভাবেই হিজড়ারা জীবিকা নির্বাহ করে, যার অধিকাংশই ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনিশ্চয়তায় ঘেরা। রাস্তাঘাটে, বাজারে কিংবা বাসাবাড়িতে টাকা উত্তোলনকে অনেকেই অনৈতিক, বেআইনি কিংবা সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রম হিসেবে দেখে। ফলে এসব ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাগবিত-া কিংবা সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। কিছু হিজড়া বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের (যেমন শিশু ছিনতাই, সংঘর্ষ, হত্যা ইত্যাদি) সঙ্গে জড়িত হয়েছিল বলেও বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দৈনিকসমূহে প্রকাশিত হয়েছে।

এসব নানাবিধ কারণে হিজড়াদের প্রতি সাধারণ মানুষের নাখোশ হতে দেখা যায়। কিন্তু তাদের জীবনমান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আবহমানকাল থেকেই এ জনগোষ্ঠী অবহেলিত ও অনগ্রসর। বাধ্য হয়ে জীবন-জীবিকার তাগিদে তারা বেছে নিচ্ছে এসব কাজ। সরকার এদের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু মানুষ হিসেবে মর্যাদা, সঠিক শিক্ষা ও যথোপযুক্ত কর্মসংস্থান করতে পারেনি। সমাজের কুসংস্কার ও অসচেতনতার জন্য হিজড়ারা প্রায়ই বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তাদের থাকতে হচ্ছে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায়। শুধুমাত্র পৃথক লিঙ্গীয় পরিচয়ের কারণে হিজড়ারা মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়। পরিবারের কাছে তারা কোনও সম্পদ হিসাবে বিবেচিত হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজ পরিবার তাদের বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তাছাড়া পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতার পাশাপাশি পারিবারিক সম্পত্তির ওপর তাদের কোনও অংশীদারিত্ব দেওয়া হয় না।

হরমোনাল জটিলতার কারণে একটি সন্তান না পুরুষ, না নারী এমনই একটা জটিল অবস্থায় যখন জন্ম গ্রহণ করে, তখন সেই সন্তানের সঠিক কোনো লিঙ্গ পরিচয় থাকে না। তাই এদেরকে লিঙ্গ প্রতিবন্ধী বা হিজড়া বলা হয়ে থাকে। ইচ্ছে করে কেউ হিজড়া হয়ে জন্ম নেয় না। এর জন্য বাবা-মা অথবা ওই সন্তান, কেউই দায়ী নয়। লিঙ্গ প্রতিবন্ধকতা ছাড়া তাদের আর কোনকিছুতে ঘাটতি নেই। বরং শারীরিক প্রতিবন্ধীর চেয়ে তারা অনেক বেশি কর্মক্ষম। মেধায়ও কোনো ঘাটতি নেই, যার অনেক উদাহরণ রয়েছে দেশে-বিদেশে। সুযোগ পেলে প্রতিভার বিকাশ ও প্রকাশ ঘটাতে পারে তারাও।

বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক দেশের সার্বিক উন্নয়নে হিজড়াদের সম্পৃক্তকরণের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় ২০১২-১৩ অর্থবছরে ‘হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২১টি জেলায় তা সম্প্রসারণ করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছর হতে ৬৪টি জেলায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিবছরই এ কার্যক্রমের আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজসেবা অধিদফতরের প্রাথমিক জরিপ মতে, বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। ২০২১-২২ অর্থবছর হতে উক্ত কর্মসূচির ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তির নগদ সহায়তায় জিটুপি পদ্ধতিতে উপকারভোগীর মোবাইল হিসাবে প্রেরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও উক্ত অধিদফতর হিজড়াদের শনাক্তকরণ ও পরিচয়পত্র প্রদান, হিজড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হিজড়া জনগোষ্ঠীর যুবাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধনমূলক কর্মকা-ে সম্পৃক্তকরণ, বয়স্ক হিজড়া জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, পরিবার ও সমাজে হিজড়াদের মর্যাদা বৃদ্ধি, আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে তাদের মনোবল জোরদারকরণসহ নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

যদিও এসকল কার্যক্রমের সুফল এখনো পুরোপুরিভাবে হিজড়ারা পায়নি। আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের সঠিক অধিকার বুঝিয়ে দিতে হবে। হিজড়া সন্তান যেন পরিবারের সঙ্গেই থাকতে পারে সেই পরিবেশ ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। হিজড়াদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যেকোনও প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে সারাদেশের হিজড়াদের একটি সুসংগঠিত ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে। প্রকল্পের প্রস্তুতি হিসেবে হিজড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রকল্পের উদ্দেশ্য, কার্যক্রম ও প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে হবে। প্রকল্পগুলো কোনোভাবেই শুধু দাতা পক্ষের নিজেদের প্রস্তাবিত কৌশলসমূহ অনুসরণ না করে একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের আওতায় বিশেষজ্ঞ ও উপকারভোগীদের মতামতের ভিত্তিতে যৌথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। হিজড়াদের মূলধারার কর্মসংস্থানের অন্তর্ভুক্ত করতে প্রথমেই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতা ঠেকাতে হবে। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতা ঠেকাতে পারলে সকল প্রকার বৈষম্যের অনেকাংশই প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। সমাজে হিজড়াদের সকল প্রকার লিঙ্গীয় বৈষম্য হ্রাস করতে তাদের শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোটা ব্যবস্থার পাশাপাশি নিয়োগে হিজড়াদের সুযোগ দিতে হবে। হিজড়া প্রার্থীদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে চাকরির বিজ্ঞাপনের বিবরণে উল্লেখ করতে হবে। যেহেতু এখন পর্যন্ত তাদের শিক্ষার হার অতিসামান্য, এজন্য শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা অনুযায়ী যথাযথ পদে চাকরির সুযোগ প্রদান করতে হবে। সমাজে চর্চিত সকল প্রকার বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণের পরিবর্তন আনতে হবে। বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন পদে (যেমন অফিস সহকারী, রাঁধুনী, কম্পিউটার অপারেটর, ইত্যাদি) স্বল্পশিক্ষিত হিজড়াদের নিয়োগ দিতে হবে। তাদের জন্য লিঙ্গবান্ধব কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা আরও সুসংগঠিত করতে হবে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধকতাগুলো দূরীকরণে আরও বেশি তৎপর হতে হবে।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট।
ajoymondal325@yahoo.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন