চরভদ্রাসন উপজেলায় দুই স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার দুই দিনেও খোঁজ মেলেনি ব্যবসায়ী মো. শহিদুল ইসলাম (৩০)সহ পরিচয়হীন অপর একজনের। মঙ্গলবার ( ৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দুইজনের সন্ধান মেলেনি। তাদের সন্ধানে পদ্মা নদীতে কোনো ডুবুরি দল নামানো হয়নি এখনও।
নিখোঁজ শহিদুল ইসলাম চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে। তিনি ঢাকার মিরপুরে গাড়ীর যন্ত্রাংশের ব্যবসা করতেন।
ঘটনার দিন ভোরে তিনি ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে পদ্মা নদীতে এই দুর্ঘটনাটির পর তিনি নিখোঁজ হন।
এদিকে গত দুইদিন ধরে নিখোঁজের স্বজনরা পদ্মা নদীর ট্রলারযোগে বিভিন্ন জলমহাল খুঁজেও শহিদুলের সন্ধান পাননি।
চরঝাউকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান মৃধা গণমাধ্যম কে জানান, দুর্ঘটনা কবলিত দুইটি স্পিডবোটে যাত্রী ছিল ১৮ জন। দুর্ঘটনার পর উদ্ধার হয়েছে ১৬ জন। এখনও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের বড় ভাই শাজাহান শেখ গণমাধ্যম কে জানান, ঘটনার দিন গ্রামের বাড়িতে জমি পরিমাপের দিন ধার্য ছিল। তাই ভোরে শহীদুল ইসলাম ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। ওই দিন স্পিডবোট দুর্ঘটনার পর থেকে পদ্মা নদীর মইনুঘাট কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ফাঁড়ি ও দোহার থানাসহ সংশ্লিষ্টদের জানানোর পরেও আমার ভাইয়ের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ব্যপারে চরভদ্রাসন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ম্যনেজার গোলাম মোর্তজা জানান, ইতোমধ্যে পদ্মা নদীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ফরিদপুর ডুবুরি দল ও মাদারীপুর ডুবুরি দল এখানে কাজ করবে।
চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির ত্রপা বলেন, নিখোঁজদের সন্ধানের জন্য পদ্মা নদিতে ডুবুরি দল নামানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চরভদ্রাসন উপজেলার চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষ্মীপুর গ্রামের সিরিস হালদারের ছেলে সুকুমার হালদার (৬০) নামে এক যাত্রী নিহত হন। তার বাড়ীতে চলছে শোকের মাতাম। পাশা-পাশি অপর দুইজন নিখোঁজ যাত্রীর স্বজনদের আহাজারিতে পদ্মার পাড়ে বিলাপ করছেন দিন রাত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন