রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মোছা: সাইমা আরাবীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগ। মঙ্গলবার (৭ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে এই মানববন্ধন করেন তারা।
এসময় মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে অংশ নেয় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম পরিষদ এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধনে দুঃখ প্রকাশ করে সাইমা আরাবীর ভাই মাসুম বলেন, আমার বোন কোমল মনের মানুষ ছিলো। সে এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না। একটা পরিবারকে লালসার কবলে ফেলে ক্ষতির দিকে ধাবিত করা হয়েছে। সে বাহিরে কারো সাথে মিশতো না। সে চাপা স্বভাবের ছিলো। সে ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখেছিল। তাকে মানবিক চাপ দিয়ে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি জান্নাত জানা বলেন, আমাদের সাইমা আপুকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। থানায় মামলা করতে গেলেও সেখানে মামলা নেওয়া হয়নি। তার পরিবারকে বিভিন্ন চাপ দেওয়া হয়েছে। আজ আপুর সাথে যা হয়েছে তা আমাদের সাথেও হতে পারে। তাই আমরা এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি।
এসময় মহিলা পরিষদের নেতাকর্মীরা বলেন, কতটা কষ্ট পেলে একজন মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে। বাংলাদেশের নারীরা কতটা কষ্টে আছে তার একটি উদাহরণ হচ্ছে সাইমা। সে একা বোধ করেছে। তার পাশে কাউকে পায়নি। আত্মাহত্যায় যে প্ররোচনা করেছে তার মতো অপরাধী আর কেউ হতে পারে না। আমরা এর বিচার চাই।
তারা আরো বলেন, আমরা যারা আত্মহত্যা করে তাদেরকে দোষ দেই। কিন্তু তার কারন জানতে চাই না। আজ আমার পরিবারে ঘটেছে কাল আপনার পরিবারেও হতে পারে। এমন হলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পরবে। আমারা নারিদের নিয়ে কাজ করি। একটা ঘটনা ঘটে গেলে পরে আর কিছু করার থাকে না ।
প্রসঙ্গত, সাইমা চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৯ জানুয়ারি বিকেলে অতিরিক্ত পরিমাণে এসডোকল-৫ ওষুধ খেয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছে।##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন