শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য

কোল্ড এলার্জি

| প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

(শীতে এ্যাজমার সমস্যা)
ঋতু বৈচিত্র্যের দেশ বাংলাদেশ। ঋতুর পরিবর্তনে আবহাওয়ারও পরিবর্তন হয়। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে আমাদের অনেকেরই স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সাধারণত শীতকালীন কিছু উপসর্গ দেখা দেয়, কোল্ড এলার্জি বা শীত সংবেদনশীলতা। আমরা দেখে থাকি শীত আসলেই অনেক শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন বা সারা শীত জুড়ে অসুস্থ থাকেন। এর বেশির ভাগ হয়ে থাকে কোল্ড এলার্জির কারণে।
ঠা-া বাতাস, সিগারেটের ধোঁয়া, সুগন্ধি, তীব্র দুর্গন্ধ, পুরাতন পত্রিকা বা বইখাতার ধুলা যাতে মাইট থাকে, ফুলের রেণু, মোল্ড ইত্যাদির উপস্থিতি অনেকেই একেবারে সহ্য করতে পারেন না। এসবের উপস্থিতি শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি বা এ্যাজমা, সর্দি ইত্যাদির দেখা দেয়। এসব বিষয়কে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এলারজেন বলা হয়। এসব এলারজেনজনিত উপসর্গকে আমরা এলার্জি বলে থাকি। সুতরাং প্রচ- শীতও অনেকের জন্য এলারজেন হিসাবে কাজ করে এবং এ কারণে সৃষ্ট উপসর্গকে কোল্ড এলার্জি বলা হয়।
শীতকালে কেন এ উপসর্গ বেশি হয় তা এখনো পরিপূর্ণভাবে জানা যায়নি তবে অনেক রোগীর সামগ্রিক অবস্থা পরীক্ষা করে কিছু জিনিস চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে যেমন- আবহাওয়ার অবস্থা, দ্রুত তাপমাত্রা এবং বায়ুচাপের পরিবর্তন, উচ্চ আর্দ্রতা মোল্ড ও মাইট-এর বংশ বিস্তারের জন্য উপযোগী যা শীতকালীন রোগগুলোর কারণগুলোর অন্যতম।
উপসর্গসমূহ : নাক দিয়ে পানি পড়ে, নাক চুলকায়, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বাঁশির মতো আওয়াজ বের হওয়া, বুক চেপে আসা ইত্যাদি
যে কারণে এ উপসর্গগুলো দেখা দেয়, এলার্জি টেস্ট করে কারণ নির্ণয় করে তা পরিহার করে চলা উচিত। ঠা-া বাতাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য এক ধরনের মুখোশ (ফিল্টার মাস্ক) বা মুখবন্ধনী ব্যবহার করা যেতে পারে। মুখের অর্ধাংশ সহ মাথা, কান ঢেকে রাখে। প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং সালবিউটমল ইনহেলার নেয়া যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি ভাল থাকার জন্য স্টেরয়েড নেয়া যেতে পারে। যে এলারজেন একেবারেই পরিহার করা সম্ভব নয় অথচ শ্বাসকষ্টের জন্য বহুলাংশে দায়ী যেমন মাইট, মোল্ড, পোলেন বা পরাগ রেণু এর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে দীর্ঘমেয়াদী সুস্থ থাকা যায়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ভ্যাকসিন পদ্ধতিতে চিকিৎসাকে এলার্জিজনিত রোগের অন্যতম চিকিৎসা বলে অভিহিত করেন। এটাই এলার্জি রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ থাকার একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি।
আগে ধারণা ছিল এলার্জি একবার হলে আর সারে না। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। প্রথম দিকে ধরা পড়লে এলার্জিজনিত রোগ একেবারে সারিয়ে তোলা সম্ভব। অবহেলা করলে এবং রোগ অনেক দিন  ধরে চলতে থাকলে নিরাময় করা কঠিন হয়ে পড়ে। উন্নত দেশের সকল প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা বর্তমানে বাংলাদেশেই রয়েছে। তাই সময়মত এলার্জি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।  
ষ অধ্যাপক ডাঃ গোবিন্দ চন্দ্র দাস
এলার্জি ও এ্যাজমা বিষেশজ্ঞ
এলার্জি এন্ড ক্লিনিক্যাল ইমুনোলজী বিভাগ
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
দি এলার্জি এন্ড এ্যাজমা সেন্টার
৫৭/১৫ পান্থপথ, ঢাকা
ফোন : ৮১২৯৩৮৩, ০১৭২১৮৬৮৬০৬, ০১৮৪৩৭০৮৯৪৫

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
সৈয়দ মোকারম হোসেন পলাশ ২০ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৩ পিএম says : 0
স্যার গরমেও তো আমার হয়,এক কথায় সারা বছর এমনকি চোখও লাল থাকে এবং অল্পতেই চোখে ময়লা জমে।এখন কি করব অনুগ্রহ করে বলবেন।
Total Reply(0)
রবিউল ইসলাম ১১ আগস্ট, ২০২১, ১১:৩৪ এএম says : 0
খুব গরমেও ফ্যানের নিচে শীত লাগে। সামান্য সর্দি আছে। মাঝে মাঝে জ্বর আশে। প্রসাবের ইনফেকশন আছে। কি করব?
Total Reply(0)
মেহেদি হাসান কাবুল ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:০০ এএম says : 0
স্যার শুধু শীতকাল নয় সব সময় কম বেশি থাকে কিন্তু শীতকালে একটু বেশি আর বিশেষ করে বিকাল 4 টার পর থেকে এটা আমাকে খুব বিরক্ত করে প্লিজ কিছু টিপস দিবেন যেটা ফলো করলে দ্রুত এর থেকে রক্ষা পাওয়া যায় প্লিজ
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন