মাদারীপুরে হত্যা মামলার আসামী আউয়াল মাতুব্বরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হত্যাকারীদের বিচার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে ব্যানার-ফ্যাস্টুন হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করার উদ্যোগ নেয় নিহতের ¯^জন ও এলাকাবাসী। তারা মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দিকে আসতে থাকলে পাঁচখোল ফকিরবাড়ীর সামনে পুলিশের বাঁধার মুখে তা পণ্ড হয়ে যায়। পরে বিক্ষুদ্ধরা বুধবার বেলা সকাল ১১ টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত সদর উপজেলার পাঁচখোলা এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়।
নিহতের ¯^জন ও পুলিশ জানান, গত ৫ ফেব্রæয়ারী শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে আউয়াল মাতুব্বরকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জুয়েল মাতুব্বর বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৫১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে এজাহারভুক্ত দু’জন আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও মূল অভিযুক্তরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার ও তাদের বিচারের দাবি জানিয়ে বুধবার বেলা ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নিহতের ¯^জন ও এলাকাবাসি। ব্যানার-ফ্যাস্টুন হাতে নিয়ে এতে অংশ নেয় সহ¯্রাধিক মানুষ। কিন্তু জেলা পুলিশের বাঁধার মুখে তারা আর আগাতে পারেনি। পরে সেখানেই রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তি দাবী করেন। আর পুলিশ নিরাপত্তার ¯^ার্থে জেলা শহরে আসতে বাঁধা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে।
নিহতের আউয়ালের মেয়ে আকলিমা বেগম বলেন, ‘আমরা একটাই দাবি, আমার বাবারে যারা নিষ্ঠুরভাবে কোপাইয়া মারছে তাগের ফাঁসি চাই। পুলিশ যেন তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনে। খুনিরা যেন কেউ দেশ থিকা পালাইয়া যাইতে না পারে। তবে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছিলাম কিন্তু পুলিশ যেতে দেয়নি। তারা কয়েক শ’ পুলিশ এসে আমাদের বাধাঁ দিয়ে রাস্তায়ই থাকিয়ে দিয়েছে। এতে আমরা হতাশ হয়ে গেছি।’
এ সম্পর্কে মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরির্দশক (তদন্ত) সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত কেউ এলাকায় নেই। তাদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। ইতিমধ্যে এজাহারভুক্ত দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করছি, আমরা মূল অভিযুক্তকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে পারবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘নিহতের ¯^জনরা শত শত লোক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের কাছে কোন অনুমতি নেয়নি। আর গোয়েন্দা খবরও আছে, তারা শহরে গেলে বাড়ী ঘর আগুন দিবে। তাই আমরা কাউকে যেতে দেয়নি। তাদের প্রতিনিধিরা দিয়ে ডিসি ও এসপিকে স্মারকলিপি দিয়ে আসছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন