শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

তথ্য অধিকার আইনে সাংবাদিক মাসুদের আপীল শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারী

সরিষাবাড়ী(জামালপুর)সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:০৯ পিএম

তথ্য অধিকার আইনে সরিষাবাড়ীর আলোচিত মাসুদের আপীল আবেদনের আপীল শুনানি জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১২ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৩ টায় অনুষ্টিত হবে। ৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুরে জামালপুর তথ্য ও অভিযোগ শাখার সহকারী কমিশনার নুসরাত জাহানের নোটিশ পেয়ে মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ আগস্ট জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা যোগদানের পর থেকেই মৌখিক তো দুরের কথা তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও তথ্য পান না কর্মরত সাংবাদিকরা। এতে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ১০টি আবেদন ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে আছে বলে অভিযোগ করেছে উপজেলার সাংবাদিকরা। দৈনিক জনবাণী ও দৈনিক আলোচিত জামালপুরের স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক মাসুদুর রহমান ২০২২ সালের ৬ জুন ও ১৯ জুন টিআর, কাবিটা, কাবিখা, জিআর, এডিপি, এলজিএসপি/উন্নয়ন সহায়তা, সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও রাজস্ব খাত থেকে ১% অর্থের তথ্য ও বরাদ্দের তালিকা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ৭ টি আবেদন করেন । আবেদনের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা কোন তথ্য প্রদান করেননি। পরবর্তীতে তথ্য অধিকার আইনের নিয়ম অনুযায়ী আবারো ৯ নভেম্বর সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে টিআর, কাবিটা, কাবিখা, জিআর ২০১৮-১৯,১৯-২০, ২০-২১,২১-২২ অর্থ বছরের ১ম ও ২য় পর্যায় এবং ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ১ম পর্যায় সাধারণ ও বিশেষ বরাদ্দের প্রকল্পের তালিকা ও প্রকল্প কমিটির তথ্য চেয়ে আবেদন করেন তিনি। তথ্য না পাওয়ায় এমন পরিস্থিতি থেকে প্রতিকার পেতে ৯ জানুয়ারী জামালপুর জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেন সাংবাদিক মাসুদুর রহমান। দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি ইব্রাহীম হোসেন লেবু বলেন, ‘২০২২ সালের ১৯ জুন কয়েকটি প্রকল্পের তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে একটি আবেদন করেছিলাম আজও পর্যন্ত সেই তথ্য কিংবা কোনো চিঠি বা জবাব আমার কাছে আসেনি। আবার আবেদন করব তথ্য চেয়ে।
সাংবাদিক মাসুদুর রহমান জানান, আবেদন অনুযায়ী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা ও সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা (উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা) হুমায়ুন কবির তাকে তথ্য না দিয়ে নানাভাবে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন।তথ্য অধিকার আইনানুযায়ী নির্ধারিত ফরমে সাংবাদিকরা আবেদন করলেও বিভিন্ন প্রকল্প হরিলুটের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই কোনো তথ্য প্রদান করে না উপজেলা প্রশাসন।তথ্য নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকরাই সরকারি তথ্য পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সেখানে সাধারন মানুষের তথ্য প্রাপ্তি তো কল্পনারও বাইরে।কেউ তথ্যের জন্য আবেদন করলে সে খবর পৌঁছে যায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক নেতার কানে, এতে হয়রানির শিকার হন স্থানীয় সাংবাদিকরা। তথ্য না পাওয়ায় তথ্য অধিকার আইনে ৯ জানুয়ারী দুপুরে জামালপুর জেলা প্রশাসকের কাছে তিনি আপিল আবেদন করেছিলাম। আপীল শুনানির জন্য ১২ ফেব্রুয়ারী দিন ধার্য করেছে। ৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার চিঠি পেয়েছি।
সাংবাদিকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে বুধবার দুপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। এদিকে জামালপুর তথ্য ও অভিযোগ শাখার সহকারী কমিশনার নুসরাত জাহান জানান, আপীল আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানীর জন্য ১২ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৩ টায় জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আপীল শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শুনানীতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা এবং সাংবাদিক মাসুদকে উপস্থিত থাকতে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
কথা হলে জামালপুরের জেলা প্রশাসক শ্রাবন্তী রায় জানান, ‘সাংবাদিক মাসুদুর রহমানের আপীল আবেদনের শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন