বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর মুহতারাম সভাপতি হযরত আল্লামা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেছেন, আমাদেরকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যুগে যুগে অসংখ্য সাদিকীন পাঠিয়েছেন এবং তাদের সাথী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমরা সাদিকীনগণের রশি ধরে আছি। আমাদের বুযুর্গানে কেরাম সবাই সাদিকীনের অন্তর্ভুক্ত। তাদের অন্যতম শায়খুল হাদীস হযরত আল্লামা মো. হবিবুর রহমান মুহাদ্দিস ছাহেব (র.)। তিনি আজীবন হাদীসের খেদমত করেছেন, সিনায় সিনায় ইলমে হাদীসের আলো জ্বালিয়েছেন। তিনি ছিলেন একাধারে একজন মুফাসসির, ফকিহ এবং জগৎ বিখ্যাত মুহাদ্দিস। শুধু তাই নয় তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইজাযতপ্রাপ্ত একজন শাইখুল হাদীস।
তিনি গতকাল ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বার্মিংহামের সিরাজাম মুনিরা জামে মসজিদ এন্ড এডুকেশন সেন্টারে আয়োজিত শায়খুল হাদীস হযরত আল্লামা হবিবুর রহমান মুহাদ্দিস ছাহেব (র.) এর ঈসালে সাওয়াব মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিরাজম মুনিরা জামে মসজিদের খতীব প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার সায়্যিদ শেখ ফাদি যুবা ইবনে আলীর সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লতিফিয়া ফুলতলী কমপ্লেক্স বার্মিংহামের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ কাদির আল হাসান ও সিরাজাম মুনিরা জামে মসজিদের পরিচালক আলহাজ্ব হাফিজ সাব্বির আহমদ।
সায়্যিদ শেখ ফাদি আল্লামা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলীর বাংলা ভাষায় দেওয়া বক্তব্য কোড করে বলেন, আমাদের সন্তানদেরকে দ্বীনি ইলিম শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি আখলাক-আদবও শিক্ষা দিতে হবে। কারণ সন্তান আদবওয়ালা না হলে শিক্ষার সুফল পাওয়া যাবেনা।
সিরাজাম মুনিরার পরিচালক শায়িখ মাওলানা আবুল হাসানের পরিচালনায় মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজাম মুনিরার পরিচালক আলহাজ্ব কাজী নানু মিয়া, আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন, মিডল্যান্ডস আল ইসলাহর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাওলানা হুছাম উদ্দিন আল হুমায়দি, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আখতার হোসাইন জাহেদ, শাহজালাল জামে মসজিদ কভেন্ট্রির খতীব মাওলানা নুরুজ্জামান ও ফুলতলী ইসলামিক সেন্টার কভেন্ট্রির পরিচালক আলহাজ্ব মুক্তা মিয়া প্রমূখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন