ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে উচাখিলা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল বাশারের উপর অতর্কিত হামলা ও মারধরের প্রতিবাদে উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারগণ থানা অভিমুখে মিছিল করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ওই মিছিল করা হয়।
অপর দিকে বিষয়টি নিয়ে উচাখিলা ইউনিয়নে গণমিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উচাখিলা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে উচাখিলা বাজারে ওই গণমিছিল করা হয়।
এদিকে এঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো (ঈশ্বরগঞ্জ) হলরুমে উপজেলার সকল ইউপি সদস্যগণ মিলে এক জরুরী সভা ডাকা হয়। সেই সভায় উচাখিলা ইউপি সদস্য আবুল বাশারের ওপর অতর্কিত হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে সন্ধ্যার পর উপজেলার সকল পরিষদের মেম্বাররা থানা অভিমুখে মিছিল করে। মেম্বারদের মিছিলটি থানার মূল ফটকে আটকে দেয় পুলিশ। ফটকের সামনে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান মেম্বারদের সাথে আলোচনা করে শান্ত হতে বলেন এবং মেম্বারদের থেকে কয়েকজন প্রতিনিধিকে থানার ভেতরে যেতে বলেন। পরে আলোচনা শেষে পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খানের বিরুদ্ধ মো. আবুল বাশার বাদি হয়ে এজহার দায়ের করেন।
জানা যায়, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আবুল বাশারকে গত বুধবার বিকেলে উচাখিলা স্কুল এন্ড কলেজের সামনে পিটিয়ে আহত করে একদল দুর্বৃত্ব। এসময় স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে ইউপি সদস্য আবুল বাশার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
উল্লেখ্য যে গত ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার ওই ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য রোকসানা একই পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম কতৃক লাঞ্ছিত ও মারধরের শিকার হন। পরে বিষয়টি নিয়ে ওই নারী সদস্য বাদী হয়ে চেয়ারম্যানকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার প্রায় ছয়দিন পর আরেকজন ইউপি সদস্য মারধরের শিকার হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। সেই সাথে উচাখিলা ইউনিয়ন সর্বস্তরের জনগন আতঙ্কে রয়েছে। যে কারনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উচাখিলা ইউনিয়নে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ টহলে রয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান জানান, ইউপি সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন