শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নেছারাবাদে গৃহবধূর এক সাথে পাচ সন্তানের জন্ম

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১০:০১ পিএম

পিরোজপুরের নেছারাবাদে একসাথে পাচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ফারজানা(২৬) নামে এক গৃহবধূ। শুক্রবার সকালে উপজেলার সোগাদল ইউনিয়ন মডেল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সন্তানগুলোর জন্ম হয়। ভূমিষ্ট হওয়া ওই পাচ সন্তানের মধ্য চারজন পুত্র সন্তান এবং একজন কন্যা সন্তান ছিল। সন্তান জম্মের আধা ঘন্টার মধ্যই পাচটি বাচ্চাই মারা গেছে। ঘটনার পর পর মায়ের অবস্থা খারাপ হওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যার পরে তাকে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাচ্চাগুলো অপরিপক্ক এবং ওজন কম হওয়ার কারনে জন্মের আধা ঘন্টার মধ্য মারা গেছে বলে জানিয়েছেন পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা সাবরিনা আক্তার। ওই গৃহবধূ ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের দিনমজুর ফারুক হোসেন এর মেয়ে।

গৃহবধূর মা শিউলী বেগম বলেন, আমরা খুবই গরীব। বিয়ের পর থেকেই মেয়েটি আমার বাড়ীতে থাকত। মেয়ে জামাই মাজেসাজে খোজখবর নিত।তিনি বলেন, মেয়ের গর্ভের বয়স ১৪ সপ্তাহ ছয় দিন হওয়ার সময় উপজেলা সদরে এসে হাসপাতাল সংলগ্ন সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার দিয়ে আলট্রাসনোগ্রাফি করাই। ডাক্তার আলট্রা দেখে বলেন পেটে দু'টি বাচ্চা আছে। তারপর বাড়ীতে এসে অভাবের কারনে মেয়েকে আর ডাক্তার দেখাতে পারিনি। গত বৃহস্পতিবার মেয়ের গর্ভের বয়স ছয়মাস হলে শুক্রবার ভোর রাতে পেটে প্রচন্ড ব্যাথা ওঠে। সকালে গ্রামের সোহাগদল ইউনিয়ন মডেল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে আসি। সেখানের পরিদর্শিকা সাবরিনা আক্তার মেয়ের অবস্থা দেখে বলেন এখনি নরমাল ডেলিভারি হবে। একটু সময়ের মধ্য মেয়ের গর্ভ থেকে চারটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান জীবিত ভুমিষ্ট হয়। সন্তান জন্মের আধা ঘন্টার মধ্য এক এক করে পাচটি সন্তানই মারা যায়। তখন মেয়ের স্বাস্থ্যর অবস্থা ভাল থাকলেও বিকেলে ওর শরীর খারাপ হয়ে ওঠে। তাই সন্ধ্যায় মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি।

সোহাগদল ইউনিয়ন মডেল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গৃহবধূর ডেলিভারি করা পরিদর্শিকা সাবরিনা বলেন, তারা রোগীকে নিয়ে এসে বলেছে পেটে দু'টি বাচ্চা। আমি রোগীর অবস্থা দেখে ডেলিভারির সময় বুজে ডেলিভারি করাই। এসময় একে একে ফারজানার গর্ভ থেকে পাচটি সন্তান ভুমিষ্ট হয়। অল্প সময়ে ডেলিভারি এবং বাচ্চাগুলো অপরিপক্ক এবং ওজন কম হওয়ায় সব বাচ্চাগুলো মারা গেছে।

নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: ফিরোজ কিবরিয়া বলেন, ওই গৃহবধূ গর্ভধারনের পর থেকে সর্বদা ভাল কোন ডাক্তারের সরনাপন্ন থাকলে হয়তো ভাল কোন ফল মিলত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন