রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিবিসিকে ভারতে নিষিদ্ধের দাবি খারিজ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১১:৪১ এএম

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ ভুল ধারণা’ উল্লেখ করে বিবিসিকে ভারতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ আদালত। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ নামে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (বিবিসি)। এই তথ্যচিত্র সম্প্রচারের পরপরই ভারত সরকার এর প্রচারের ওরপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর গোটা ভারত উত্তাল হয়ে ওঠে। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রদর্শিত হতে থাকে তথ্যচিত্রটি। এর প্রদর্শনী বন্ধ করতে পুলিশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চড়াও হয়। আটক করে অনেক শিক্ষার্থীকে।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু সেনার প্রধান বিষ্ণু গুপ্ত বিবিসিকে ভারতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে আদালতের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তথ্যচিত্র তৈরি করেছে বিবিসি। গতকাল শুক্রবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
বিষ্ণু গুপ্ত তাঁর আবেদনে আরও বলেছেন, বিবিসির তথ্যচিত্রটি ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈশ্বিক উত্থানের বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র। এটি শুধু প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করার জন্যই প্রচারিত হয়নি, বরং এটি ভারতের সামাজিক কাঠামোকে ধ্বংস করার জন্য বিবিসির হিন্দুত্ববিরোধী প্রচার। বিষ্ণু গুপ্তের আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ আদালতকে যুক্তি দিয়ে বলেছিলেন, বিবিসি ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এই তথ্যচিত্রের পেছনে বিবিসির ষড়যন্ত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে জাতীয় তদন্ত সংস্থাকেও (এনআইএ) অনুরোধ করেছেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে এ ধরনের (বিবিসিকে নিষিদ্ধ) আদেশ দিতে পারে? আবেদনে যা বলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা, এর কোনো যোগ্যতা নেই। সুতরাং আবেদন খারিজ করা হলো।
গত ১৭ জানুয়ারি দুই পর্বের তথ্যচিত্রটির প্রথম পর্ব লন্ডনে প্রকাশ করেছে বিবিসি। এরপর ২৪ জানুয়ারি দেখানো হয়েছে দ্বিতীয় পর্ব।
‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ তথ্যচিত্রের প্রথম পর্ব প্রকাশের পর ২১ জানুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীনে জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করে সরকার এই তথ্যচিত্রের ভিডিও লিংক ব্লক করার জন্য ইউটিউব ও টুইটারকে নির্দেশ দেয়।
এ মাসের শুরুর দিকে প্রবীণ সাংবাদিক এন রাম, আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্রর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে তথ্যচিত্রটি সেন্সর করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন