কক্সবাজারের টেকনাফে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষে অন্তত ১৭।
আহতদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও ইউপির চেয়ারম্যানে রাশেদ মাহমুদ আলী পাজেরো গাড়িটি ও হ্নীলা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর গাড়ী (নোহা) ভাংচুর করা হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার হ্নীলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হ্নীলা বাজার এলাকায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী। সমাবেশে হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সভাপতি নুরুল বশর, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এইচএম ইউনুছ বাঙ্গালী, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী প্রমুখ।
আহতদের মধ্যে হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আবুল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম, মাইন উদ্দিন, মোহাম্মদ সেলিম, মোঃ আনোয়ার, কবির আহমদ সহ ১০জন আহত হলেও বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি। এছাড়া বিএনপির আহতদের মধ্যে হ্নীলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলীআহমদ,মোহাম্মদ এমরান,আব্দুল্লাহ, মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ জামাল ও আব্দুর রহিমসহ সাতজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল বংশরের নেতৃত্বে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী হ্নীলা বাজারের দক্ষিণ পার্শ্ব থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শুরু করা হয়।
অপরদিকে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইউনিয়নের পযাপ্তে পথযাত্রা শুরু করে বিএনপি। কিছুক্ষণের মধ্যে মুখোমুখি হয়। হামলায় আওয়ামীলীগের ১০জন নেতাকর্মীসহ অন্তত ১৭জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী কর্মীরা জানান, দিন দুপুরে পুর্ব পরিকল্পিত হামলা, ইট-পাটকেল ও গুলি বর্ষণ করে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের হামলায় হ্নীলায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনসহ ১০জন গুরুতর আহত করেছে।
হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপির চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, জেলা বিএনপির সভাপতি মো.শাহাজাহান চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের শান্তিপুণ কর্মসূচিতে হামলা ও গুলি চালানো হয়েছে। এতে ১০জন নেতাকর্মী আহত হন। বিএনপির সন্ত্রাসীদের হামলায় আমার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত হাজারো গাড়িটি ভাংচুর করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল বশর জানান, পূর্বনির্ধারিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শান্তি সমাবেশে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে স্থানীয় সন্ত্রাসী হিসেবে আবারও প্রমাণ করেছে।
তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট হাসান ছিদ্দিকী বলেন,বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচীতে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরীর উপস্থিত থাকাকালীন হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রাশেদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে লাঠিসোটা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চৌধুরীর পার্কিং থাকা নোহা মাইক্রোটি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ভাংচুর করে তছনছ করে ফেলেছেন।
কক্সবাজার জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মো. শাহাজাহান চৌধুরী জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে বিএনপির সাতজন নেতাকর্মীকে আহত করেছেন। এসময় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা হ্নীলা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর গাড়ী (নোহা) ভাংচুর করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল হালিম বলেন,আওয়ামীলীগ-বিএনপি উভয় দলের সংঘর্ষ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আইনাগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ঘটনাস্থলে এখনো পুলিশ রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন