ফরিদপুর সদর থানার পশ্চিম খাবাসপুর মিয়ার পাড়ার এলাকার মৃতঃ বীর মুক্তিযোদ্বা আব্দুল আহাদ পিতার গৃহ থেকে তারই মেঝ কন্যার মরদেহ উদ্বার করেছেন ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ এবং জেলা সিআইডির ক্রাইম সিনের একটি প্রতিনিধি দল।
পঁচা গন্ধের উৎপওি থেকে গ্রামবাসী রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি)
জাতীয় সেবা প্রতিষ্টানের ৯৯৯ এ এলাকাবাসী ফোন দিয়ে কোতায়ালী থানা পুলিশের সাহায্য নিলে, তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এসআই মিজানসহ ৫ জনের একটি দল। তার সাথে যোগ হন সিআইডির একটি প্রতিনিধি দল। পুলিশ ও এলাকাবাসী পঁচা গন্ধ বেড় হওয়া বাড়ীতে গিয়ে সরেজমিন পর্যবেক্ষন করলে ঐ বাড়ীর উওর পাশের বারন্দায় আটকানো অবস্হায় ৩৫ বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ দেখতে পান। এবং তাৎক্ষণিক মরা লাশের খবরে পুড়ো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যে শতাধিক নারী পুরুষ এক হলে গোটা এলাকা একটি জনাকীর্ণ পরিবেশের অবতারনা হয়।
জানা যায়, দীর্ষদিন আগে মৃতঃ মুক্তিযোদ্বা অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল আহাদ হিন্দু সম্প্রদায়ের নিকট থেকে ৭/৮ শতক জায়গা কিনে এখানে বসত ভিটা গড়ে তুলেন। আব্দুল আহাদ এবং মনোয়ারা বেগম দম্পোতির ঘরে ৫ টি সন্তান জন্ম নেয়। এর মধ্যে ৪ মেয়ে ১ ছেলে। রহিমা বেগম লিটা বিবাহিত, মৃতঃ ঝুমা আক্তার (৩৫) অবিবাহিত। সেঝ মেয়ে রুমা (২৮) বিবাহিত নওয়া সুমা ও বিবাহিত।
তৃতীয় সম্তান একমাত্র ছেলে আব্দুল ওয়াসিম পিতা মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় পুলিশ সদস্য পদে চাকুরী পান। বর্তমানে তিনি পাইক গাছা থানায় দায়ীত্ব পালন করছেন। কিন্ত ঐ ছেলের সাথে পরিবারের কারোর সাথেই কোন সম্পর্ক নাই বলে প্রত্যদর্শী এলাকাবাসী জানান।
মৃতঃ আব্দুল আহাদের পরশী নিয়ামুল ইনকিলাবকে জানান, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়,গত ৯/১০ দিন আগে আমার কাছে পানি খেতে চেয়েছিল,কিন্তু তার মায়ের অশ্রাব্য আচারনের কারনে এলাকার কোন লোক কেউ ঐ বাড়ীতে আমরা যাইনা।
পানি দিলে অপমান অসম্মান হবো বিধায় পানি দিতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত মেয়েটার মৃতঃ খবর পেয়ে লাশ দেখে খুবই কস্ট পেলাম। এ বিষয়, পরশী হাজী আব্দুল আউয়াল ইনকিলাকে বলেন, মৃত্যের "মা" মনোয়ারা বেগমের(৫৫) তার আচার আচরন চলা ফেরা সব কাজই ছিল অনৈতিক এবং খুবই প্রশ্নবিদ্ধ। কেউ কেউ বলছেন, ঔ বাড়ীতে সন্দেহজনক লোক জনের চলা ফেরা মেলা মেশা ছিল অবাদ। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক জনৈক শিক্ষিকা গনমাধ্যমকে কে বলছেন, মা এবং বোন সুমার অনেক অকাজ ও কু কাজের বাঁধা ছিল নিহত ঝুমা আক্তার। মাঝে মাঝে কান্নার শদ্ব পেতাম। কিন্ত প্রশ্ন করার সুযোগ পেতাম না।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে আশা পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ মিজান গনমাধ্যমকে কে বলেন ভাই ঘটনার কোন মন্তব্য করতে পারছি না। তবে বিষয়টি অনেক লম্বা।
এ বিযয় কথ হয় ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকারের সাথে তিনি ইনকিলাবকে জানান,৯৯৯ ফোন দিয়ে থানার চান একজন পরশি। তাৎক্ষণিক ছুটে আসি আমরা। মৃত্যুের পঁচা গন্ধ থেকে ঘটনার উৎপওি। পরে সরেজমিন পুলিশ ঘর তল্লাশী করলে ঐ পরিবারের মেঝ কন্যার পঁচা গলিত ও মুখমণ্ডল বিকৃত অবস্হার শীতের কাপড়রে মোরান চকির নিচে পড়ে থাকা মৃতদেহ উদ্বার কর হয়।
লাশের ময়না তদন্তে আলামত গ্রন চলছে। সিআইডির ক্রাইম সিনের টিম এবং যৌথভাবে তদন্ত করে ঘটনার কারন পেয়ে যাবো। লাশ দেখে মনে হচ্ছে বেশ কিছুদিন আগে মারা হয়েছে। তবে হত্যার সন্দেহ হয়। মৃতঃ ঝুমার "মা" রহিমা বেগম এবং ছোট মেয়ে সোমা আক্তার সুমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় পরিবারের কেউ বাদী হয়ে মামলা করেননি। তবে পুলিশ আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন