কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা চলাকালীন সময়ে পুলিশের বাঁধা দিলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শনিবার (১১-ফেব্রুয়ারী) উপজেলার বাংগড্ডা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০-৬০ জনের অজ্ঞাত নাম দিয়ে পুলিশের কাজে বাঁধা একটি মামলা দায়ের করেন। রাতেই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির তিন জন নেতাকর্মীকে আটক করেন পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউপির মাহিনী গ্রামের ইউনূস ভূইয়ার ছেলে কবির আহাম্মদ, বাঙ্গড্ডা ইউপির গান্ধাচী গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে নূর হোসেন মনু ও পরিকোট গ্রামের তনু মোল্লার ছেলে নাসির মোল্লা। আটককৃদের গতকাল রবিবার কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্র জানা যায়, বিএনপির নেতা কর্মীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রার আয়োজন করেন উপজেলা বাংগড্ডা বাজার এলাকায়। এ সময় পুলিশ খবর পেয়ে তাদের পদযাত্রা না করার জন্য বাঁধা দেন। এতে বিএনপির নেতা কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠি চার্জ করলে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নজির আহাম্মদ ভূঁইয়া বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচি অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পালন করি। এতে পুলিশ বাঁধা দিয়ে আমার নেতা কর্মীকে গাল মন্ধ করে। এক পর্যায়ে তাদের উপর লাঠি চার্জ করে। রাতে তিন জন বিএনপির কর্মী আটক করে বলে দাবী করেন তিনি।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি মোঃ ফারুক হোসেন বলেন ,বিনা উস্কানিতে বাঙ্গড্ডা বাজারে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা করে। এতে কয়েজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় এসআই আতিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন