বাংলাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে, কোথাও কোনো সমস্যা নেই। সরকারের আমলা, মন্ত্রী ও নেতাদের কথা মতে, জনগণ এতই সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে আছে যে, ট্যাক্স ফ্রি রাষ্ট্র ব্রুনাইয়ের নাগরিকদের চেয়েও বাংলাদেশের জনগণ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভ করেছে। বাস্তবতা হচ্ছে, দৃশ্যমান পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল অবকাঠামোগত উন্নয়নের একটি অংশ বটে, কিন্তু এটাই টেকসই উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি হতে পারে না।
প্রচলিত ধারণা মতে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলতে অবকাঠামোগত উন্নয়নকে বুঝানো হতো, যদিও অর্থনৈতিক দিক থেকেও সার্বিকভাবে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন হয়নি। ‘সম্পদের সুষম বণ্টনের’ দাবিতে স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন প্রকারান্তে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ এবং হানাদার বাহিনীর আত্মসর্মপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র জন্মলাভ করলেও স্বাধীনতার চেতনার মূলমন্ত্র ‘রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুষম বণ্টন’ হয়নি। বরং পাকিস্তানের ২২ পরিবারের স্থলে সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে ২২ হাজার ধনিক পরিবার।
পাকিস্তানি পুঁজিপতি ও বাংলাদেশী পুঁজিপতিদের মধ্যে তারতম্য এই যে, পাকিস্তানিরা ব্যবসা-বাণিজ্য, কল-কারখানা স্থাপনের জন্য পূর্ব পাকিস্তানে পুঁজি ইনভেস্ট করত, পক্ষান্তরে বাংলাদেশি পুঁজিপতিরা মানি লন্ডারিং করে বিদেশী ব্যাংকে টাকা জমাসহ কানাডা, মালয়েশিয়া, আমেরিকা, লন্ডনে বিলাসবহুল প্রাসাদ নির্মাণসহ রাজকীয় গাড়িতে চলাফেরা করে। বাংলাদেশের সমুদয় সম্পদ শাসকগোষ্ঠীর ঘরানার হাতে বন্দী। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরভিত্তিক হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ সালের জুন প্রান্তিক শেষে দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল এক লাখ আট হাজার ৪৫৭ জন। আর সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে কোটিপতির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ছয় হাজার ৫২০ জনে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৩৪ লাখ ৩৬ হাজার ৮৮টি। এসব আমানতকারীর হিসাবে জমা ছিল ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৯৫ লাখ ১৪ হাজার ৫১৩টি। তাদের হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। এদের মধ্যে এক লাখ ছয় হাজার ৫২০টি হিসাবে কোটি টাকার উপরে রয়েছে এবং এদের মধ্যে থেকেই মানি লন্ডারিং হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক সাম্য নিশ্চিত করা। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও শাসকগোষ্ঠী কথামালার অনেক ফুলঝুরি ছড়িয়েছে, কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আসেনি। এখনো হাড় কাঁপানো শীতে রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে অনেক নারী-পুরুষের রাত কাটে। সন্তানকে খাদ্য দিতে না পারায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মা-সন্তান আত্মহত্যা করে, রাজধানীতে সিগন্যালে গাড়ি থামলেই স্কুলে যাওয়ার বয়সী ছেলে-মেয়েদের দেখা যায় ভিক্ষাবৃত্তি বা অন্য কোনো পেশায়।
তার প্রাকৃতিক সম্পদের সম্প্রসারণ ও ব্যবহার টেকসই পদ্ধতিতে করবে, এ সাধারণ নীতিটির আবির্ভাব হয়েছে তুলনামূলকভাবে সাম্প্রতিককালে। যদিও টেকসই উন্নয়ন নীতিটির ধারণা বহু দিন ধরেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দলিলে স্বীকৃত হয়ে আসছিল, এমনকি টেকসই উন্নয়ন এ প্রপঞ্চটি ১৯৮০ সাল থেকেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তথাপি পরিবেশ আইনের সুনির্দিষ্ট নীতি হিসেবে টেকসই উন্নয়নের সাধারণ নীতিটি প্রথম ১৯৯২ সালে ব্রাজিলে ইইএ চুক্তির প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়। টেকসই উন্নয়নের ধারণাটি ১৯৮৭ সালের ব্রান্টল্যান্ড রিপোর্টের মাধ্যমে প্রথম এসেছে বলে সাধারণভাবে মনে করা হয়, যেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদাকে কোনোভাবে ক্ষুণœ না করে বর্তমান প্রজন্মের প্রয়োজন মেটানোর কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়টিকে বিশ্লেষণ করলে দু’টি ধারণা পাওয়া যায়। প্রথমটি হচ্ছে প্রয়োজনের ধারণা। এর অর্থ হচ্ছে, বিশেষ করে, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অপরিহার্য প্রয়োজনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। দ্বিতীয় ধারণাটি হচ্ছে ‘প্রকৃতিকে’ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা। রাষ্ট্র বা জনগোষ্ঠী উভয় কর্তৃক প্রকৃতির ব্যবহারই এ ধারণার অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে অপচয় এবং শুধুমাত্র অপরূপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি বা ফুটানির জন্য বিনিয়োগ টেকসই উন্নয়নের পরিপন্থী।
আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোতে টেকসই উন্নয়ন ধারণাটির চারটি উপাদান বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। ১. ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা, যাকে বলা যেতে পারে আন্তঃপ্রজন্মভিত্তিক ন্যায়পরায়ণতার নীতি। ২. প্রাকৃতিক সম্পদগুলোর টেকসই, বিচক্ষণ, যুক্তিসঙ্গত, সুদক্ষ বা যথোপযুক্ত টেকসই ব্যবহারের নীতি। ৩. একই প্রজন্মের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদের ন্যায়সঙ্গত ব্যবহারের নীতি। এর অর্থ হলো প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী রাষ্ট্র অবশ্যই অন্য রাষ্ট্রের চাহিদার কথা বিবেচনায় রাখবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারত যা বিবেচনায় রাখেনি। ৪. অর্থনৈতিক ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা, কর্মসূচি ও প্রকল্পের সাথে পরিবেশগত বিবেচনায় বিষয়টি সম্পৃক্ত করার নিশ্চয়তা প্রদান এবং সাথে সাথে এটাও নিশ্চিত করা যে, পরিবেশগত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে যেন উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় আনা হয়। একে বলা যায়, একীভূতকরণের নীতিমালা।
এ চারটি উপাদান ঘনিষ্ঠভাবে পরস্পরের সাথে সম্পৃক্ত, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সব একত্র করে ব্যবহার করা হয়। এটা এ কথারই ইঙ্গিত দেয় যে, পৃথক পৃথকভাবে এগুলোর এখনো কোনো সুপ্রতিষ্ঠিত বা সর্বসম্মত আইনগত সংজ্ঞা দাঁড়ায়নি। টেকসই উন্নয়ন ধারণাটির উপাদানগুলোকে একত্র করে কিভাবে একটি একক আইনগত কাঠামো দেয়া যেতে পারে-১৯৮৯ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তার নজির পাওয়া যায়। (সূত্র : ঊহারৎড়হসবহঃধষ খধি ইধহমষধফবংয ধহফ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়হঃবীঃ, পৃষ্ঠা-৭১৩-৭১৪)।
১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত টেকসই উন্নয়ন অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ১৯৭০ দশকে উন্নয়নের নতুন চিন্তাচেতনার উদ্ভব হয়। ১৬ জুন ১৯৭২ অনুষ্ঠিত ঝঃড়পশযড়ষস উবপষধৎধঃরড়হ (ঊধৎঃয ঈড়হভবৎবহপব) এ ২৬টি নীতিমালা গ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়ন বলতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে পরিবেশগত উন্নয়নকে সংযুক্ত করা হয়। উক্ত সম্মেলনে সিদ্ধান্ত মতে পরিবেশগত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক সাম্য বা সমতা এই তিনটি বিষয়ের সংযুক্তিকেই ‘উন্নয়ন’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ১৯৭২ সালের সম্মেলনে পরিবেশ ও উন্নয়নের সমন্বয়কে টেকসই উন্নয়ন বলা হয়েছে। ডড়ৎষফ ঈড়হংবৎাধঃরড়হ ঝঃৎধঃবমু, ১৯৮০, ১৯৮০ সম্মেলনে ১. প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ ২. ঊপড়ষড়মরপধষ চৎড়পবংং সংরক্ষণ ৩. ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা পূরণের প্রয়োজনীয়তাকে সংরক্ষণ করাই ‘টেকসই উন্নয়ন’ বুঝানো হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের পরিবেশ এবং উন্নয়ন সম্মেলন ১৯৯২ সালের ৩ থেকে ১৪ জুন ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিও শহরে অনুষ্ঠিত হয় যা জরড় উবপষধৎধঃরড়হ নামে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত। উক্ত সম্মেলনে ঝঃড়পশযড়ষস উবপষধৎধঃরড়হ কে পুনঃ সমর্থন করে রাষ্ট্রগুলো সমাজের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অংশ এবং জনসাধারণের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনার মাধ্যমে নব ও ন্যায়সঙ্গত বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, সবার স্বার্থের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং বৈশ্বিক পরিবেশগত এবং উন্নয়নগত প্রক্রিয়ায় অবিচ্ছেদ্যতাকে রক্ষা করে আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে ২৭টি নীতিমালা গ্রহণ করা হয়, যা বাংলাদেশ কার্যকর করতে সফলতা অর্জন করতে পারেনি। এখনো ধনিক শ্রেণীর অট্টালিকা ও প্রমোদ ভবন নির্মাণের জন্য আবাসন প্রকল্পের নামে গরিব কৃষকের তিন ফসলি কৃষিজমি কেড়ে নেয়া হচ্ছে এবং খাল, বিল, নদী-নালা, জলাধার, বালু দ্বারা ভরাট করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়। মানি লন্ডারিং যারা করছে, তারা সবাই সরকারি ঘরানার উচ্চপদস্থ কর্ণধার, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যাদের আশপাশ দিয়েই হাঁটে না, তদন্ত তো দূরের কথা। মানি লন্ডারিংয়ের টাকা ফেরত আনতে বাজেটে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার পরও সরকার ওই টাকা ফেরত আনতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক নিজের টাকাই পাহারা দিতে পারেনি, রাষ্ট্রের টাকা পাহারা দেবে কিভাবে?
এদের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা অনেকেরই নাম মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে, যেমন- সাবেক এলজিআরডিমন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুর রহমান গোলাপ, বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আ: হাই বাচ্চু। আরো যারা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত এবং সরকারি ঘরানার উচ্চপদে আসীন অনেকে আছেন যাদের নাম প্রকাশ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুদককে ইতোমধ্যে হাইকোর্ট নির্দেশ প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জোর গলায় বলেছেন যে, তিন ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না, খাল-বিল, নদী-নালা, জলাশয় ভরাট পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা যাবে না; অথচ আবাসন প্রকল্পের নামে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করার কোনো কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। সরকারি ঘরানার এই ভূমিদস্যুরা সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা মানছে না। কারণ ভূমিদস্যুদের দস্যুতার শক্তি জোগাচ্ছে স্বয়ং সরকার। এজন্য সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছিলেন, ‘আমরা কনটেম্পট অর্ডার ইস্যু করতে করতে হয়রান হয়ে যাচ্ছি।’ প্রধান বিচারপতি এ বক্তব্য দিয়ে জাতির সামনে নিজের সরল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বটে, কিন্তু তিনি তার সাংবিধানিক শপথ রক্ষা করতে কতটা সফল হয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
গণমানুষের জীবনধারার মানোন্নয়ন এবং পরিবেশের মানোন্নয়নের সমন্বয়েই টেকসই উন্নয়ন করতে হয়। বাংলাদেশের এক-চতুর্থাংশ জনগোষ্ঠী এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। প্রায় ৫০% যুবকের দিন কাটে বেকারত্বে। প্রায় ৫০% মানুষ তিন বেলা পেট ভরে ভাত খাওয়া, শিক্ষা, চিকিৎসা ও উপযুক্ত বাসস্থানের সঙ্কটে রয়েছে। দরিদ্রতা পরিবেশকে দূষিত করার মূল কারণ। দারিদ্র্য দূর করার জন্য সম্পদের সুষম বণ্টন অপরিহার্য। ফলে অবকাঠামোগত উন্নয়নকে টেকসই উন্নয়ন বলা যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশের অবহেলিত জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যমুক্ত না হয়। জ্বালানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার্য বিষয়াদির ধাপে ধাপে মূল্য বাড়িয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সরকার হতদরিদ্রের দিকে ঠেলে দিয়ে ভাগ্য প্রশস্ত করছে ব্যবসায়ীদের। ফলে গরিব দিনে দিনে হতদরিদ্র ও পুঁজিপতিরা ধনিক শ্রেণীতে পরিণত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
লেখক: রাজনীতিক, কলামিস্ট ও আইনজীবী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন