বাংলাদেশে নিযুক্ত কিংডম অব ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভুটানের থেকে অনেক শক্তিশালী। ভুটান দীর্ঘদিন থেকে গণতন্ত্রের চর্চা করে। আমি আশা করি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠ হবে।
তিনি আরো বলেন, শেরপুরের নাকুগাঁওসহ ৩টি স্থলবন্দর দিয়ে চলমান আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম আরো বাড়াতে চায় ভূটান। ভারতের ট্রানজিট ব্যবহারের অনুমতি না থাকায় নাকোগাও সহ এ এলাকার তিনটি স্থল বন্দরে ভূটান বাংলাদেশের ৮০ টি পন্য আমদানি রপ্তানি করা যাচ্ছে না। ভারতের ট্রানজিট ব্যবহারের অনুমতি পেলেই কাজ শুরু হবে ।
আজ দুপুরে শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন ভূটানের রাষ্ট্রদূত। এসময় তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ভূটানের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক পয়েন্ট। বর্তমানে ইন্দো-বাংলাদেশ ও ইন্দো ভূটান চুক্তি থাকলেও খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি ত্রিদেশীয় চুক্তি হতে যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের সাথে বাংলাদেশ কাস্টমসের কমিশনার ওয়াহিদা চৌধুরী বলেন, ভূটানের সাথে বাংলাদেশের বানিজ্য সম্পর্ক চমৎকার। ভারতের সাথে সমঝোতা করে আমদানি রপ্তানি বাড়ানোর জন্য সমস্যা দূর করার জন্যই বাংলাদেশ ভূটান ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় করা হচ্ছে।
এসময় আমদানি রপ্তানি কারক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, আমরা নাকুগাও স্থল বন্দরকে কার্যকর করতে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস কাপড়, সুটকি, প্লাস্টিকের পণ্যসহ ১০টি রপ্তানি ও ভূটান থেকে ৮০ টি পণ্য আমদানি করার দাবী জানিয়ে আসছি। এ ক্ষেত্রে বড় বাধা ভারতের ট্রানজিট সুবিধা না পাওয়া। এছাড়া আমাদের এ বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ পার্ট থেকে যাত্রী যাওয়ার অনুমতি থাকলেও ভারত থেকে এখনো অনুমতি নাই। যে কারণে আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে।
স্থল বন্দর পরিদর্শনের সময় রাষ্ট্রদূতের সাথে ভূটানের মিনস্টার কাউন্সিলর (বাণিজ্য) কেনচো থিনলে, বাংলাদেশ কাস্টমসের কমিশনার ওয়াহিদা চৌধুরী, নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খ্রীস্টমার রিসিল উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন