গতকাল সোমবার তামিলনাড়ুর বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা ওয়ার্ল্ড কনফেডারেশন অব তামিলস-এর সভাপতি পি নেদুমারান দাবি করেছিলেন, এলটিটিই নেতা ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ জীবিত। সেই দাবি উড়িয়ে দিল শ্রীলঙ্কা সরকার। দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় নেদুমারানের দাবিকে ‘জোক’ বলে মন্তব্য করল। আরও জানানো হয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে ২০০৯ সালেই মৃত্যু হয়েছে জঙ্গি নেতার।
গতকাল পি নেদুমারান দাবি করেছিলেন, প্রভাকরণ বেঁচে আছেন ও সুস্থ আছেন। শীঘ্রই তিনি প্রকাশ্যে আসবেন। প্রভাকরণের অনুমতিতেই তিনি এই খবর প্রকাশ্যে এনেছেন। তার কথায়, “এলটিটিই প্রধান প্রভাকরণ বেঁচে আছেন এবং খুব শিগগির প্রকাশ্যে আসবেন, আনন্দের সঙ্গে একথা জানাচ্ছি গোটা বিশ্বকে। তিনি তামিল ইল্লামের আগামী পরিকল্পনার কথাও জানাবেন।” তামিলনাড়ুর বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আরও বলেন, “শ্রীলঙ্কায় রাজপক্ষ সরকারের পতন হয়েছে। ফলে প্রভাকরণের প্রকাশ্যে আসার পক্ষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।”
সেই দাবিই উড়িয়ে দিল শ্রীলঙ্কা। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “২০০৯ সালের ১৯ মে এক সামরিক অভিযানে মৃত্যু হয়েছে প্রভাকরণের। ডিএনএ টেস্টে তা নিশ্চিত করা হয়েছিল।” অতএব, পি নেদুমারান দাবি নিছক মস্করা ছাড়া কিছুই নয়। উল্লেখ্য, গতকালই ওয়ার্ল্ড কনফেডারেশন অব তামিলস-এর সভাপতির দাবিকে কটাক্ষ করেছিলেন তামিলনাড়ু কংগ্রেসের শীর্ষনেতা কেএস আলাগিরি। তিনি বলেছিলেন, “যদি পি নেদুমারান প্রভাকরণকে দেখাতে পারেন, তবে তার সঙ্গে দেখা করতে যাব।”
২০০৮-০৯ সালে তামিল টাইগার বা এলটিটিই-র বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কার সেনা। ২০০৯ সালের ১৯ মে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলি লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রভাকরণের। উত্তর শ্রীলঙ্কার মুল্লিভায়াকালের জঙ্গল থেকে লাশ উদ্ধার হয়েছিল। সেই সময় তার লাশ প্রকাশ্যে আনে তৎকালীন শ্রীলঙ্কা সরকার। লাশের সঙ্গে ছিল ‘০০১’ লেখা একটি লকেট, দু’টি পিস্তল, একটি টেলিস্কোপ লাগানো টি৫৬ রাইফেল, একটি স্যাটেলাইট ফোন এবং বেশ কিছু ওষুধ। এর ফলে সমাপ্ত হয়েছিল দীর্ঘ তিন দশকের অস্থিরতা। ১৯৮২ থেকে ২০০৯ অবধি চলা সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল ১ লাখেরও বেশি মানুষ। সূত্র: টিওআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন