অর্থের অভাবে স্থানীয় নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে দ্বীপরাষ্ট্রের বিরোধী দলগুলো। ওই বিক্ষোভ মিছিল দমনে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে শ্রীলঙ্কা পুলিশের বিরুদ্ধে।
এদিকে, দেশের প্রেসিডেন্ট ভবন চত্বরে ঢোকা যাবে না বলে নির্দেশিকাও জারি করা হয় ২৬ জন নেতার বিরুদ্ধে।
সোমবার প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে শ্রীলঙ্কার অন্যতম প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার। দ্রুত সাধারণ নির্বাচন করতে হবে, এই দাবিতে রাজধানী কলম্বোর পথে নামেন বিপুল সংখ্যক লঙ্কানবাসী। নির্বাচন না করার পাঁয়তারা করছে শ্রীলঙ্কা সরকার। ওই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে মিছিল শুরু হয়। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মিছিল পৌঁছাতেই ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকানো হয়। পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে বিক্ষোভকারীদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ।
বিক্ষোভকারীরা জানান, দু’বার জলকামান চালানো হয়েছে তাদের ওপর এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করা হয়। ২৬ জন বিরোধী নেতাকে হুঁশিয়ারি দেয়া হয় তারা যেন প্রেসিডেন্ট ভবন চত্বরে ঢুকতে না পারেন।
এই মিছিলের সমর্থন জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল সমাগি জন বালওয়াগেয়া। তাদের পক্ষ থেকে আগেই অভিযোগ জানানো হয়েছিল, বিক্রমাসিংহের সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনের জন্য আর্থিক বরাদ্দ খারিজ করছে। কারণ এই নির্বাচনে তাদের পরাজয় নিশ্চিত। এজন্যই নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করছেন বিক্রমাসিংহে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন