সংঘবদ্ধ সৌদি আরব মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা মো. নজরুল ইসলামসহ ৫ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। চক্রটি সৌদি আরবে উচ্চ বেতনে চাকরি, বছরে দুটি বোনাস, থাকা খাওয়া ফ্রীসহ চাকরী দেয়ার লোভনীয় অফার দেখিয়ে মানব পাচার করত। সৌদিতে পাঠানোর পর তাদের আটকে রেখে নির্যাতন করে লাখ লাখ টাকা দাবি করত। তাদের জনশক্তি রপ্তানির কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই।
সোমবার রাতে রাজধানীর পল্টন মডেল থানারসৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বরনী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সৌদি আরব মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা নজরুল ইসলাম মিলন (৪২), বাদল আকন (৪০), মো. হেলাল উদ্দিন (৩২), আব্দুর রহমান রিপন (৩৮), মো. মাসুদ আলম (২৬)।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ১০ টি মোবাইল, ৮ টি এটিএম কার্ড, ৩ টি স্ট্যাম্প এবং নগদ ২৫ হাজার ৩৮৫ টাকা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, গ্রেপ্তার আসামীদের জনশক্তি রপ্তানীর কোন বৈধ লাইসেন্স নেই। তবুও তারা ভিকটিমদের কাছ সৌদি আরবে উচ্চ বেতনে চাকরি, বছরে দুটি বোনাস, থাকা খাওয়া ফ্রীসহ চাকরী দেয়ার লোভনীয় কথাবার্তা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
লে. কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সৌদি আরবে পাঠিয়ে সেখানে তাদের অন্য সহযোগীদের মাধ্যমে ভিকটিমদের কাছ থেকে পাসর্পোট ও টাকাসহ সর্বস্ব কেঁড়ে নিয়ে তাদেরকে একটি ঘরে জিম্মি করে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে এবং কোন প্রকার খাবার দেয় না। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে লক্ষাধিক টাকা দাবী করে। ভিকটিমের পরিবার কোন উপায় না পেয়ে আসামীদের অফিসে গিয়ে তাদের জানালে তারা বিষয়টি দেখতেছে বলে সময় নেয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, কয়েক দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও কোন কাজ না হওয়ায় গ্রেপ্তারদের অফিসে গেলে তারা বিভিন্ন ধরনের গালি-গালাজসহ অশোভনীয় আচরন করতে শুরু করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্রয় নিতে গেলে ভিকটিমকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে থাকে।
তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান লে. কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন