ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই দরবার শরিফের মাদ্রাসা ময়দানে ফাল্গুন মাসের মাহফিল বুধবার বাদ জোহর শুরু হচ্ছে। মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম-পীর ছাহেব চরমোনাই’র উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যে দিনে েএ মাহফিলের আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হবে।
মাহফিলে আগত মুসল্লীদের অবস্থানের জন্য প্রস্তুতকৃত চরমোনাই ইউনিয়নের প্রায় ৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ৬টি মাঠ শনিবার থেকেই মুসল্লীদের আগমনে মুখরিত হতে থাকে। মঙ্গলবার সকালে তা পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। উপচে পড়া মুসল্লীদের বাধভাঙ্গা শ্রোত এখনো চলমান।
মাহফিলে আগত মুসল্লীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এতে ১১ জন সিনিয়র ডাক্তারের সমন্বয়ে আরো ৪০ জন চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। ৪ টি এ্যাম্বুল্যান্স ও ১ রিভার এ্যম্বুলেন্স মাহফিল হাসপাতালে কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। যেকোন চিকিৎসা সেবায় বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।
ছয়টি মাঠে মাহফিলের শৃঙ্খলা রক্ষায় আউন-শৃংখলা বাহিনীকে প্রায় দশ হাজার স্বেচ্ছাসেবক সহায়তা করবে। এছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী।আগত মুসল্লীদের খাবারের জন্য প্রত্যেকটি মাঠের চারিদিকে সুপেয় নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিন দিনব্যাপী বিশাল এ মাহফিলে দ্বিতীয় দিন সারাদেশ থেকে আগত ওলামায়ে কিরামদের নিয়ে ওলামা সম্মেলন ও শেষদিন সকালে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে ছাত্র গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।
এবছর দেশ-বিদেশের বরেণ্য বেশ কিছু ওলামায়ে কিরামের মাহফিলে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে বলে আয়েজকদের তবফ থেকে বলা হয়েছে।
ঐতিহাসিক চরমোনাই বার্ষিক মাহফিলে ৭টি মূল বয়ানের মধ্যে আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর ছাহেব চরমোনাই ৫ টি এবং নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই ২টি বয়ান করবেন।
এছাড়াও চরমোনাই কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় দরবার সমূহের পীর সাহেবগণ এবং শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কিরামগণ বয়ান পেশ করবেন বলে জানান হয়েছে।
আগামী শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত পীর ছাহেব চরমোনাই েএবারের মাহিফিলের শেষ বয়ানের পরে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী এ মাহফিলের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন