বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের বরিশাল প্রান্তে পর পর দ্বিতীয় দিনের মত পৃথক দুটি সড়ক দূর্ঘটনায় আরো দু জন নিহত এবং অন্তত ২৫ যাত্রী আহত হয়েছে। বুধবারের ঐ দুটি দূর্ঘটনার পরই দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেস দ্বার এ মহাসড়কে দীর্ঘ সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারন মানুষের দূর্ভোগের কোন শেষ ছিলনা।
মহসড়কের বরিশালের উজিরপুরের আঁটিপাড়া মোড় এলাকায় বুধবার ঢাকাগামী সাকুরা পরিবহনের ও বরিশালগামী সুগন্ধা পরিবহনের দুটি যাত্রীবাহী বাসের মূখোমূখি সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও অন্তত ২০জন যাত্রী আহত হয়। গুরুতর আহতদের বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এ সময় মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটে আটকা পড়া দুরপাল্লার বাসযাত্রী সহ পণ্যবাহী যানবাহনগুলোকেও চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
দুটি বাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে সুগন্ধা পরিহনের বাসটি ছিটকে মহাসড়কের পাশের একটি গাছের ওপর আছড়ে পড়লে যাত্রী মোঃ কামাল সিকদার ( ৪২) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত মোঃ কামাল বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুর এলাকায়। গুরুতর আহতদের মধ্যে সাকুরা পরিবহনের যাত্রী বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ডাঃ মাকসুদ এর অবস্থা আশঙ্কাজনক। উভয় বাসের চালক ও হেলপার পলাতক।
এদিকে গৌরনদীর হোসনাবাদ এলাকায় মোটর বাইকের ধাক্কায় ৮০ বছর বয়স্ক হাফেজ মোঃ সাইদুর রহমান মীর নামে মসজিদের একজন ইমামের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার পূর্ব গরঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা ঐ ইমাম ছাহেবের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুর্ঘটনায় মোটর বাইকটির অজ্ঞাতনামা চালকও গুরুতর আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, মীরা বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মোঃ সাইদুর রহমান (৮০) বুধবার বাজার থেকে মাছ কিনে পায়ে হেটে বাড়ি ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুত গতির একটি মটর বাইকের চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি পাঁকা সড়কের ওপর পড়ে গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে দ্রুত গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর ক্ষুব্দ এলাকাবাসী মেটরসাইকেলটি আটক করে রেখেছে। চালক পলাতক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন