সিফিলিস আমাদের দেশে প্রধান যৌন রোগগুলোর অন্যতম। ট্রিপোনিমা প্যালিডাম নামক ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সিফিলিস সংক্রমিত হয়ে থাকে। এ ব্যাকটেরিয়া গ্রাম নেগেটিভ ব্যাসিলাস ধরণের ব্যাকটেরিয়া। সিফিলিস সংক্রমনের তিনটি ধাপ বা ডিগ্রী রয়েছে। এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে মুখের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। সিফিলিসের প্রথম ডিগ্রী সংক্রমনের ক্ষেত্রে সাধারণত ঠোঁট ও জিহ্বায় আলসারযুক্ত নডিউল দেখা যেতে পারে। ঘাড়ের লসিকা গ্রন্থি বা লিম্ফনোডগুলো বড় হয়ে যেতে পারে। সিফিলিসের প্রথম ডিগ্রী সংক্রমণের দুই থেকে চার মাস পর দ্বিতীয় ডিগ্রী সংক্রমণ শুরু হয়। সাধারণত মুখ ও মুখগহ্বরের ওরাল মিউকোসাতে আলসারের সৃষ্টি হয়ে থাকে। আবার লালচে দাগ দেখা যেতে পারে। এ ধরণের আলসার বা ঘাঁ কে ¯েœইল ট্র্যাক আলসার বলা হয়। সেরোলজিক্যাল পরীক্ষায় এ সময় সিফিলিস পজেটিভ হয়ে থাকে।
সিফিলিসের তৃতীয় ডিগ্রী সংক্রমণ কয়েক বছর পর হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে মুখের অভ্যন্তরে তালু এবং জিহ্বায় পঁচনশীল সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। এমনকি পরবর্তীতে তালু পর্যন্ত ছিদ্র হয়ে যেতে পারে।
সিফিলিসের সামনের দাঁতে অনেক সময় অসামঞ্জস্য দেখা যায়। কনজেনিটাল সিফিলিসের ক্ষেত্রে হাছিসন্স ইনছিসর দাঁত দেখা যায়। এ দাঁতের সামনের অংশে ইনছিজাল এজে খাজ কাটা নচ দেখা যায়। মোলার দাঁতের সমস্যা দেখা যেতে পারে যা মুন মোলার নামে পরিচিত। জন্মগত সিফিলিসের ক্ষেত্রে নাক সাধারণত চ্যাপ্টা আকৃতির হয়ে থাকে। কপালের উপরিভাগ অসমতল হয়ে থাকে। তাই সিফিলিস এবং মুখের আলসার রোগ প্রতিরোধে অবৈধ যৌন মিলন থেকে বিরত থাকুন।
মুখে বা জিহ্বায় সিফিলিস জণিত আলসার দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করুণ। সাধারণ আলসার থেকে সিফিলিস জণিত আলসারের চিকিৎসা আলাদা হয়ে থাকে। আপনার মুখে সিফিলিস জণিত আলসার দেখা দিলে কোন অবস্থাতেই আপনার শিশুকে বা আপনার প্রিয়জনকে চুমুর মাধ্যমে আদর করতে যাবেন না।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃdr.faruqu@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন