কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে আমদানী নিষিদ্ধ বিপুল পরিমাণ বিদেশী সিগারেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার (বিজিবিএম) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হোয়াইক্যং বিওপি'র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৮ হতে আনুমানিক ৩ কিলোমিটার উত্তর দিকে কাটাখাল নামক এলাকায় একটি সীমান্ত সুরক্ষা টহলদল নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। অভিযান চলাকালীন ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের ৪ হাজার ৫০০ প্যাকেট বিদেশী সিগারেট উদ্ধার করা হয়।
টহলদল সীমান্ত হতে আনুমানিক ৮০০ গজ দূরে কাটাখালের পাশ দিয়ে নারী এবং পুরুষের সমন্বয়ে গঠিত চোরাকারবারীদের একটি বড় দলকে মাথায় বস্তা নিয়ে মায়ানমার হতে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে। টহলদল উক্ত চোরাকারবারীদের দেখা মাত্রই তাদের চ্যালেঞ্জ করে তাদের দিকে অগ্রসর হয়। চোরাকারবারীরা বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে টহলদলের উপর আক্রমন করে এবং অতর্কিতভাবে বিভিন্ন স্থান থেকে বিজিবি টহলদলের উপর মুহুর্মুহু গুলি বর্ষণ করে। এ সময় বিজিবি টহলদল বেড়িবাঁধের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে এবং সরকারী সম্পদ ও নিজেদের জান ও মাল রক্ষার স্বার্থে বিজিবি টহলদল পাল্টা গুলি ছুঁড়লে চোরাকারবারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল উক্ত এলাকায় তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে
মায়ানমার হতে চোরাইপথে আনীত আমদানি নিষিদ্ধ ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা
মূল্যমানের ৪ হাজার ৫শত প্যাকেট বিদেশী সিগারেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। টহলদল
কর্তৃক উক্ত এলাকায় সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের
সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় যে, উক্ত আমদানী নিষিদ্ধ বিদেশী সিগারেটগুলো কুখ্যাত সন্ত্রাসী নবী হোসেন এবং তার দলের সদস্যদের দ্বারা বাংলাদেশে এনেছিল।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত বিদেশী সিগারেটসহ সন্ত্রাসী নবী হোসেনসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারী কর্তব্যে
নিয়োজিত বিজিবি সদস্যদের উপর গুলিবর্ষণ, সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান এবং মায়ানমার হতে চোরাইপথে আমদানী
নিষিদ্ধ সিগারেট পাচারের দায়ে টেকনাফ মডেল থানায় বাংলাদেশ দন্ডবিধি অনুযায়ী নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন