গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে কবর ভাংচুর করা হয়েছে। এঘটনায় শুক্রবার কবরস্হ মরহুম নেছারউদ্দিন খন্দকারের ছেলে সেলিম খন্দকার বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামী করে কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ নারিকেল বাড়ী গ্রামের খন্দকার বাড়ী এ ঘটনা ঘটে। মরহুম নেছারউদ্দিন খন্দকারের নাতী মোঃ তরিকুল খন্দকার বলেন আমরা বাড়ি না থাকার সুযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে আমাদের একই গ্রামের পর্স্চিম পাশের বাড়ির উচ্ছৃঙ্খল আলম খন্দকার, আবুল কালাম খন্দকার, মিন্টু খন্দকার এবং তাদের দল বল নিয়ে এসে হঠাৎ করে আমার দাদা নেছারউদ্দিন খন্দকার ও আমার দাদী মরহুম সামচুনন্নাহারের পাকা কবরের উপরে হামলা চালিয়ে নতুন কবরদুটি ভাংচুর করে বাড়ির মহিলাদের খুন জখমের হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায়। তিনি আরো বলেন ২০০৫ সালে আমার দাদা এবং ২০১৭ সালে আমার দাদী মারা গেলে আমরা আমাদের বাড়িতে কবরস্হ করি। এর পর প্রায় গত একমাস আগে কবরদুটি ইট দিয়ে পাকাকরণ করি। এঘটনায় শুক্রবার সকালে আমার চাচা সেলিম খন্দকার বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামী করে কোটালীপাড়া থানার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। শাহিনুর বেগন, লাভলী বেগম ও আজগর খন্দকার বলেন বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করে আলম খন্দকার,আবুল কালাম খন্দকার, মিন্টু খন্দকার সহ ৭/৮ জন লোক লোহার দা শাপল ও বাঁশের লঠি নিয়ে এসে আমাদের বাড়িতে কবরের উপরে হামলা চালিয়ে কবর দুটিকে ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয় এসময় আমরা তাদেরকে বাধাঁ দিলে তারা আমাদের বাধাঁকে উপেক্ষা করে কবর দুটি গুড়িয়ে ফেলে এবং আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে খুন জখমের হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায়, পরে আমরা গ্রামের লোকজনদেরকে ডেকে বিষয়টি দেখাই এবং জানাই। আমরা এদের বিচার দাবি করি। মোঃ সেলিম খন্দকার অভিযোগ করে বলেন আলম খন্দকার, আবুল কালাম খন্দকার ও মিন্টু খন্দকার এলাকার গোঁয়ারগোবিন্দ ও লাঠিয়াল বাহিনীর লোক এরা সমাজে বিচ্ছৃঙ্খলা করে বেড়ায় তাদের অত্যাচারে এলাকার হিন্দু মুসলিম অতিষ্ঠ। তারা দলবদ্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে জোরপুর্বক আমাদের বাড়িতে এসে আমার মা- বাবার কবর ভাংচুর করে আমরা এদের দৃস্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানাই এঘটনায় আমি বাদী হয়ে তাদের ৭ জনকে আসামী করে কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। সরোয়ার হোসেন খন্দকার বলেন আমরা নিরিহ মানুষ একটু ব্যবসা করে সংসার চালাই,আর আলম খন্দকার, আবুল কালাম খন্দকার ও মিন্টু খন্দকার এরা এলাকায় ত্রাস করে বেড়ায় তাদের অত্যাচারে এলাকার হিন্দু মুসলিম অতিষ্ঠ। তারা যখন যা খুসি করে কারো কথা শোনেনা যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সহস পায়না।তারা হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার আমাদের বাড়িতে ঢুকে আমার মা-বাবার কবরের উপরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে কবরদুটিকে গুড়িয়ে দিয়েছে। আমি এঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের দৃস্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানাই। তবে কবর ভাংচুর করার কথা স্বীকার করে আলম খন্দকার বলেন আমাদের জায়গায় কবর পরেছে তাই আমরা কবর ভেঙে ফেলেছি।সিহাব খন্দকার বলেন সেলিম ভাই একদিন আমাকে বলে আমি আমার মা বাবার কবর পাকা করতে চাই এসময় আমি তাকে সার্ভেয়ার দিয়ে জায়গা পরিমাপ করে কবর পাকাকরার কথা বলি কিন্তু সে পরিমাপ না করে কবর জোরকরে আলম খন্দকারের জায়গায় কবর পাকাকরণ করায় তারা কবর দুটি ভাংচুর করেছে। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান জানান কবর ভাংচুর করার একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন